গুলিস্তানে বিস্ফোরণ নিয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

Slider জাতীয়


ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, রাজধানীর গুলিস্তানে সাত তলা ভবনের নিচতলায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা কোনো নাশকতা নাকি গ্যাস জমে বিস্ফোরণ হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমাদের বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করে দেখছেন, এটা নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সিদ্দিক বাজারের নর্থ-সাউথ রোডে বিস্ফোরণের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডিএমপি কমিশনার এসব তথ্য জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, অনেক সময় মিথেন গ্যাস, এসির গ্যাস বা পয়োঃগ্যাস জমে এমন বিস্ফোরণ হতে পারে। এখন এটা নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা, তা আমাদের দায়িত্বরত বিশেষজ্ঞ দল তদন্ত শেষ করে বিস্তারিত বলতে পারবেন।

তিনি আরও জানান, ওই ভবনে যারা আটকে পড়েছিল, সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, র্যা বের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। চিকিৎসক ও নার্সদের কোনো সংকট নেই। চিকিৎসায় কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।

এর আগে, মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর গুলিস্তানে সাত তলা একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত অনন্ত ৭০ জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে বাসযাত্রী, পথচারী, বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ স্থানীয়রাও রয়েছেন। তবে বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। এ ছাড়া ভবনের কত তলা থেকে এই বিস্ফোরণ, তা-ও এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির সাত তলার নিচ তলায় ৮ থেকে ৯টি স্যানিটারির দোকান ছিল। বিস্ফোরণের পর সবগুলো দোকানই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলাতে এসব দোকানের গোডাউন ছিল। অন্যদিকে চতুর্থ তলা থেকে শুরু করে সাত তলা পর্যন্ত ছিল আবাসিক বাসা-বাড়ি। তবে এসব জায়গায় কতটি পরিবার কিংবা মানুষজন ছিল, তা-ও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, বিস্ফোরণের কারণে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরবর্তীতে এককভাবে ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

অন্যদিকে আহতদের চিকিৎসায় প্রচুর পরিমাণে রক্তের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের ঢামেকে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *