ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাওলানা শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (৩৬) নামে এক ইসলামি বক্তার জিহ্বা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার আজমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শরিফুল ইসলাম বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চাপুইর গ্রামের মাওলানা আব্দুর রশিদ ভূঁইয়ার ছেলে।
বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক (আরবি) মাওলানা আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, শনিবার রাতে বিজয়নগরের দৌলতবাড়ি এলাকায় মাহফিলে অংশ নেন মাওলানা শরিফুল। মাহফিলে তিনি শিয়াদের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন তিনি। মাহফিল শেষে মধ্যরাতে ভাগ্নের মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে আখাউড়া উপজেলার আজমপুর রেলস্টেশন এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাত কয়েকজন যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় শরিফুলের জিহ্বা ও ঠোঁটের অনেকটা অংশ কেটে যায়। এ সময় মোটরসাইকেলে শরিফুলের সঙ্গে থাকা ওবায়দুল্লাহ (৩৪) নামে একজন আহত হন। তাদের চিৎকারে আশপাশ থেকে মানুষ চলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ রোববার শ্রীপুর ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জোহরের নামাজের আগে মানববন্ধন করেছেন।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শরিফুল ইসলামের ওপর হামলার খবর আমরা শুনেছি। তবে এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তবে আমি তার স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে থানায় অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। ওই বক্তাকে একদল যুবক চড়-থাপ্পড় মেরেছে। এ সময় তার জিহ্বা কেটে গেছে। কী কারণে মেরেছে, বিষয়টি আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি। অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’