কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমছিল। ফলে দেশেও মূল্যবান ধাতুটির মূল্য কমানো হয়েছিল। তবে হঠাৎ বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দর বেড়েছে। এতে স্থানীয় মার্কেটেও দামি ধাতুটির দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (৩ মার্চ) আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের স্পট মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে ১৮৪৭ ডলার ২৫ সেন্টে। গত ২০ ফেব্রয়ারির পর যা সর্বোচ্চ।
এসময়ে ডলারের দাম বেশ কমেছে। বিগত মধ্য জানুয়ারির পর যা সর্বনিম্ন। এতে বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে স্বর্ণ।
স্যাক্সো ব্যাংকের পণ্য কৌশলের প্রধান ওলে হ্যানসেন বলেন, অর্থনৈতিক তথ্য দুর্বল হলে সুদের হার কম বাড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এমনটি হলের ডলারের তেজ আরও কমবে। ফলে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বগতি পাবে।
এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির দাম বাড়াতে পারে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ইতোমধ্যে সেই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। আগামী সোমবার (৬ মার্চ) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি বৈঠক বসবে। সেখানেই এই ঘোষণা আসতে পারে।
কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ বলেন, ‘সম্প্রতি দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমিয়েছি আমরা। এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে দর বেড়েছে। তবে স্থানীয় মার্কেটে সেই প্রভাব এখনো স্পষ্ট নয়। তাই ওই দিনের বাজারচিত্র দেখে দর পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সাধারণত, পাকা স্বর্ণের হালহকিকত দেখে মূল্য নির্ধারণ করি আমরা।’
গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে আউন্সপ্রতি স্বর্ণের দাম ছিল প্রায় ১৮০০ ডলার। সেই হিসাবে চলতি সপ্তাহে দর বেড়েছে প্রায় ৫০ ডলার। আগের সপ্তাহে দেশে ভরিতে স্বর্ণের দাম কমানো হয় ১১৬৭ টাকা। এতে ভালো মানের মূল্য দাঁড়ায় ৯১ হাজার ৯৬ টাকা। এবার কত টাকা বাড়ানো হয় সেটাই দেখার অপেক্ষা।