চার লেন হচ্ছে ঢাকা বাইপাস

Slider জাতীয় ঢাকা

D1_Highway,_Prague_Chodov

ঢাকা: নগরীর যানজট নিরসনে ঢাকার পাশের গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থেকে মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার ঢাকা বাইপাস সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে। এতে করে দেশের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের আরও অধিক সংখ্যক পণ্যবাহী যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ না করেই সরাসরি চট্টগ্রামে প্রবেশ করতে পারবে।

পাবলিক পাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের আওতায় চার লেনের ঢাকা বাইপাস নির্মাণ করা হবে। এতে করে নগরীতে পণ্যবাহী পরিবহনের অনেক চাপ কমবে।

‘সাপোর্ট টু জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-মদনপুর(ঢাকা বাইপাস)’ প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের পিপিপি ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটি এপ্রিল ২০১৫ থেকে মার্চ ২০২০ সাল মেয়াদে বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর(সওজ)।

ঢাকা বাইপাস প্রসঙ্গে সওজ-এর প্রধান প্রকৌশলী এম ফিরোজ ইকবাল  বলেন, ‘ঢাকা শহরের যানজট নিরসন করতে ৪৮ কিলোমিটার চার লেনের ঢাকা বাইপাস নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছি।

অনেক সময় দেখা যায় চট্টগ্রামগামী উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের পণ্যবাহী ট্রাক ঢাকায় প্রবেশ করে। এতে করে ঢাকা যানজটের কবলে পড়ে।’
‘ঢাকা বাইপাস নির্মাণ করা হলে এসব পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ঢাকায় প্রবেশ না করেই সরাসরি চট্টগ্রামে যেতে পারবে। এছাড়া এসব অঞ্চলের অনেক যাত্রীবাহী পরিবহনও ঢাকায় প্রবেশ না করেই সরাসরি চট্টগ্রামে প্রবেশ করতে পারবে। এতে করে নগরীর যানজট কমে আসবে। প্রকল্পটির অর্থায়ন ব্যয় মেটানো হবে পিপিপি’র আওতায়।’

সওজ সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে অন্যতম ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন, ঢাকা বাইপাস পিপিপি সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যমান ইউটিলিটি স্থানান্তর করা।

সওজ সূত্র জানায়, ঢাকা বাইপাস পিপিপি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলাকালীন যাবতীয় কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং পুনর্বাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাও সাহায্য করবে। প্রকল্প প্রস্তাবে নীতিগত সাপোর্ট, জনবল, ইনডিপেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, এনজিও সার্ভিস, লিকুইডেটেড সার্ভিস, স্টাডি ট্যুর ইত্যাদি বিষয়ে সভা সেমিনার করা হয়েছে। এতে সবার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে প্রকল্পের আওতায় ছয় জন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে। সওজ-এর একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে।

সওজ সূত্র আরও জানায়, প্রকল্পটি পিপিপি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের জন্য কনশেসনারের নিকট ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তরের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। এরইমধ্যে প্রকল্পটি পিপিপির আওতায় বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সকল সমীক্ষায় ইতিবাচক ফল দেখা গেছে।

সওজ সূত্র জানায়, নানা কারণে পিপিপি’র আওতায় ঢাকা বাইপাস নির্মাণ করা হচ্ছে। ঢাকার যানজটের চাপ সামলাতে সংশ্লিষ্টরা হিমশিম খাচ্ছেন। উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের পণ্যবাহী অনেক ট্রাক সরাসরি চট্টগ্রামের উদ্দেশে পাড়ি জমায়। এতে করে বাইপাস না থাকার কারণে অহেতুক এসব পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ঢাকায় প্রবেশ করে। এতে নগরীতে যানজট ‍সৃষ্টি হয়। ঢাকা বাইপাস নির্মাণ করা হলে ঢাকাবাসী যানজটের কবল থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাবে।

কারণ ব্যবসা বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানের সন্ধানে দেশের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *