নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে দিন পার করছে পাকিস্তান। দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির হার ক্রমশ ঊর্ধমুখী। এটি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে দেশটির প্রভাবশালী পত্রিকা ডনের আজ বৃহস্পতিবারের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
গত মাসে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে পণ্যের দাম বেড়েছে। মুদ্রাস্ফীতির করুণ থাবায় পড়া দেশটির পরিবারগুলোর সামনে আরও ভয়ংকর দিন আসছে। গতকাল বুধবার পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির মুদ্রাস্ফীতি ৩১ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছেছে।
দেশটির গবেষণা প্রতিষ্ঠান আরিফ হাবিব লিমিটেডের মতে, এটি ১৯৬৫ সালের জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ। সামনের মাসগুলোতে এই মুদ্রাস্ফীতির হার আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জুন থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত আট মাস ২০ শতাংশের উপরে ছিল এই মুদ্রাস্ফীতি। কিন্তু গত মাসে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি ৩০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
দেশটির বিশ্লেষক তোরেক ফারহাদি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতির ৩০ শতাংশের পরিসংখ্যান হলো-যেখানে পরিবারগুলোকে তাদের পছন্দ এবং ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ২ শতাংশ।
দেশটিতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেসব পণ্যের দাম রেকর্ড বেড়েছে তার মধ্যে আছে পেয়াজ (৪১৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ), মুরগি (৯৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ), ডিম (৭৮ দশমিক ৭৩), চাল (৭৭ দশমিক ৮১ শতাংশ), রান্নার তেল (৫০ দশমিক ৬৬ শতাংশ), সরিষা তেল (৪৮ দশমিক ১১ শতাংশ), ফ্রেশ ফল ( ৪৫ দশমিক ১৭ শতাংশ)।
এ ছাড়া পাঠ্যপুস্তক, মোটর জ্বালানি, গ্যাস চার্জ, স্টেশনারি , ওয়াশিং সাবান/ডিটারজেন্ট/ম্যাচবক্স, তরল হাইড্রোকার্বন, মোটর গাড়ি সবকিছুর মূল্য বেড়েছে দেশটিতে।