গত বছরের ফেব্রুয়ারি চেয়ে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় বেড়েছে। আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে)।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৪৯ কোটি ৪৫ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় বেড়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা বেশি হয়েছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার। এ বছর জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমলেও চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দেশে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম (জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) ৮ মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৪০১ কোটি ৩৩ লাখ মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৩৪৩ কেটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ে ৫৭ কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স বেশি এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৭ কোটি ৫৭ লাখ ১০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১২৪ কোটি ৫ লাখ ডলার এবং বিদেশিখাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬১ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
রেমিট্যান্স বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা উদ্যোগ নিয়েছে। সেগুলোর মধ্যে আছে- আড়াই শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা, রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা প্রদান, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজীকরণ, অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণ অর্থায়ন সুবিধা, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধকরণ এবং রেমিট্যান্স প্রেরণে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা। সর্বশেষ সেবার বিনিময়ে রেমিট্যান্স আয় আনার ক্ষেত্রে ফরম-সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করা হয়েছে।