চলতি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম ব্যাপক কমেছে। মাসিক ভিত্তিতে গত ২০ মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দর বেড়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) সুদের হার বাড়িয়ে যেতে পারে। এতে মার্কিন মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের কাছে স্বর্ণের আবেদন হ্রাস পেয়েছে।
চলতি ফেব্রুয়ারির শুরুতে স্বর্ণের দাম ব্যাপক ঊর্ধ্বমুখী হয়। ২০২২ সালের পর সর্বোচ্চে ওঠে মূল্যবান ধাতুটির মূল্য। তবে এরপর তা নিম্নমুখী হতে থাকে।
এ মাসে স্বর্ণের দরপতন হয়েছে ৫ শতাংশেরও বেশি। গত সপ্তাহে শক্তিশালী অর্থনীতির তথ্য প্রকাশ করে ইউএসএ। তাতে ফেডের সুদহার বাড়ানোর সম্ভাবনা দেখা দেয়। ফলে ২০২১ সালে জুনের সর্বনিম্নে নেমে গেছে স্বর্ণের দর।
অবশ্য মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দাম শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি আউন্সের মূল্য স্থির হয়েছে ১৮২৮ ডলার ২৮ সেন্টে।
এর আগে দামি ধাতুটি বড় দর হারায়। আউন্সপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয় ১৮০৪ ডলার ২০ সেন্টে। গত ডিসেম্বরের পর যা সবচেয়ে কম। অর্থাৎ গত ২ মাসের মধ্যে ছিল সবচেয়ে কম।
একইদিনে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের সরবরাহ মূল্য বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। প্রতি আউন্স বিক্রি হয়েছে ১৮৩৬ ডলার ৭০ সেন্টে। এর আগে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির দাম কম ছিল।
আরজেও’র জ্যেষ্ঠ বাজার কৌশলবিদ ড্যানিয়েল প্যাভিলনিস বলেন, স্বর্ণের দাম কমছে। মানুষ এখন এর সুবিধা নিতে পারে। বেশি স্বর্ণ কিনে মজুত করতে পারে। পরে দর বাড়লে প্রয়োজনে বিক্রি করতে পারবে। গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির মূল্য ১৭০০ ডলারের মধ্যে নামার দারুণ সম্ভাবনা আছে।