রাজধানীতে খুচরায় প্রতি হালি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার বেশি দরে। যা মাস ব্যবধানে বেড়েছে ১৪ শতাংশ; আর বছর ব্যবধানে প্রায় ২৮ শতাংশ।
নিম্নআয়ের মানুষের প্রোট্রিনের চাহিদা মেটানোর পণ্যটির দাম হঠাৎ কেন বাড়ল? এতে কতটা লাভবান প্রান্তিক খামারিরা?-এসকল প্রশ্নের উত্তরে একতা প্লোট্রির মালিক আবু হোসেন বলেন, বর্তমানে মুরগীর খাবারের দাম বেড়ে যাওয়াতে এখন ডিমপ্রতি ১১টাকার উপরে খরচ হয়ে যায়। আমরা তো এখানে কিছুই করতে পারছি না।
খামারি থেকে ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে অন্তত পাঁচ হাত ঘোরে ডিম। বর্তমানে এই বাজারে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোই সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
খামারি ও পাইকাররা বলছেন, যারা মুরগীর খাবার উৎপাদন করে তারাই আবার মুরগী এবং ডিমের উৎপাদক। এর ফলে দেখা যায়, ডিম উৎপাদন করে কোন ক্ষতির সম্মুখীন হলে তখন তারা মুরগীর খাবারের দাম বাড়ায় দেয়। বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোই এগুলো করে। আর এক প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ালে অন্যান্য করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও দাম বাড়িয়ে দেয়।
যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। উন্মুক্ত বাজার ব্যবস্থায় আস্থা রাখছেন সরকারের এই আমলা। তিনি জানান, লাভের অংশ যদি অনেকে বেড়ে যায় তবে তখন আমরা দাম নির্ধারণ করে দেই। মুরগীর খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে দেখতে হবে, যে কেন খামারিরা ন্যায্যমূল্যে খাবার পাচ্ছে না।
এক দিকে ডিমের রেকর্ড বাড়তি দামে ভোগান্তিতে নিম্নআয়ের মানুষ। অন্যদিক প্রান্তিক খামারিরা বলছেন, ডিম উৎপাদনে লোকসানে পড়ছেন তারা। বাজার স্থিতিশীল রাখতে খামার থেকে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত সরকারের মূল্য নির্ধারণের দাবি, প্রান্তিক খামারিদের।