প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পর্যাপ্ত গবেষণা হয়েছে বলেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসস্পূর্ণ। কৃষি খাতে গবেষণা ছাড়া কখনোই অগ্রগতি সম্ভব নয়। উচ্চফলনশীল বিভিন্ন শস্য উৎপাদনে নিবিড় গবেষণায় নিয়মিত অর্থ বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছে সরকার।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যেন খাদ্যে কষ্ট না পায় সেটাই সরকারের লক্ষ্য। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। মাঠে কাজ করা ও ফসল ফলানো গৌরবের বিষয়। সেভাবে মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে।’
এ সময় ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ধানের জন্য কৃষিবিদ ও গবেষকদের ধন্যবাদ জানান সরকারপ্রধান। বলেন, ‘প্রাকৃতিক বৈরী পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে।’
বিএনপির আমলের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির আমলে সার দাবি করায় কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়। বিদ্যুতের দাবি করায় ৯ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরির আন্দোলন করায় ১৭ জন শ্রমিককে রমজান মাসে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তখন থেকে আমাদের প্রতিজ্ঞা ছিল, কৃষককে সারের পেছনে ছুটতে হবে না। সার কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে। আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিদেশিদের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশ চলবে না। প্রত্যেকটা পরিবারকে আত্মনির্ভরশীল করতে চায় সরকার। মোবাইল ফোন সবার হাতে পৌঁছে গিয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে ব্রির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেলা ১১টার পর গাজীপুর পৌঁছান সরকারপ্রধান। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
এদিন গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্রের বিভিন্ন উদ্ভাবন পরিদর্শন করেন।