মানিকগঞ্জে আ’লীগের অঙ্গসংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৬

Slider রাজনীতি


মানিকগঞ্জে শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তিন গ্রপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ছয়জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে এ ঘটনার পর থেকেই আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনগুলোর মধ্যে চলছে তীব্র উত্তেজনা।

এদিকে নেতাকর্মীদের আধাঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসা সামাজিক-স্বাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, অভিবাবক ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পড়ে ফুল না দিয়ে অনেকে শহীদ বেদী থেকে চলে যান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা শহীদ বেদীতে ফুল দিতে আসেন। আওয়ামী লীগের পক্ষে ফুল দেয়ার পর শ্রমিক লীগের এক পক্ষের নাম ঘোষণা করলে অপর পক্ষ বাধা দেয়। পরে উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে সেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও শ্রমীক লীগের ছয়জন নেতাকর্মী আহত হন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে আধাঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি আব্দুর রউফ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে এবং কোনো পক্ষই এখনো পর্যন্ত অভিযোগ করেনি।

জানা যায়, এই ঘটনায় সদর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসেন, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সানজিদ কাজল, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জসিম উদ্দিনসহ শ্রমিক লীগ ও যুবলীগের ছয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক খান তুষার বলেন, শ্রমিক লীগের ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এটা দুঃখজনক ঘটনা। মূলত সেচ্ছাসেবক লীগের সাথে এ বিষয়ে কোনো সর্ম্পক নেই।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল বলেন, শ্রমিক লীগের নিজেদের দ্বন্দ্ব কোনোভাবেই সেটা নিয়ে শহীদ মিনারের মতো পবিত্র স্থানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানো ঠিক হয়নি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। কোনো সমস্যা থাকলে সিনিয়র নেতৃবৃন্দই সেটা সমাধান করতে পারে এটা নিয়ে কোনো কিছু ঘটা সত্যই দুঃজনক।

অপর দিকে রাত ১২টা ১ মিনিটে জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক মো: আ: লতিফের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন। এর পর জেলা পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খানের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীনের নেতৃত্বে জেলা পরিষদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সরকারি-বেসরকারি ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *