বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ইতিহাসে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ী দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ঘরে তুলল নিজেদের চতুর্থ শিরোপা। টুর্নামেন্টের এবারের আসরের ফাইনালে মাশরাফি বিন মতুর্জার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে শেষ হাসিটা হেসেছে ইমরুল কায়েসের দল। একই সঙ্গে ফাইনালে না হারার রেকর্ড অক্ষুণ্ণও রেখেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সিলেটকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা। ৫২ বলে ৭৯ রান করে কুমিল্লার জয়ের নায়ক জনসন চার্লস। এর আগে ব্যাট করে কুমিল্লাকে ১৭৬ রানের লক্ষ্য দেয় সিলেট।
দ্বিতীয় ইনিংসের ১৬তম ওভার পর্যন্ত দুই দলেরই জয়ের সমান সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল। শেষ চার ওভারে কুমিল্লার দরকার পড়ে ৫২ রান। তখন পেসার রুবেল হোসেনের হাতে বল তুলে দেন মাশরাফি। ওই ওভারেই ম্যাচটা চলে যায় কুমিল্লার হাতে। জীবন পাওয়া জনসন চার্লস আর মঈন আলি মিলে ওভারে তুলে নেন ২৩ রান। শেষ পর্যন্ত এই জুটিই ম্যাচ বের করে নিয়ে এসেছে।
চার্লস ৫২ বলে ৭ চার আর ৫ ছক্কায় ৭৯ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে দেন। ১৭ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন মঈন আলি।
তাদের আগে ওপেনার সুনিল নারিন ৫ বলে ১০ আর ইমরুল কায়েস ২ রানে আউট হলে বিপদে কুমিল্লা। এরপর চার্লসকে নিয়ে ৫৭ বলে ৭০ রানের জুটি গড়েন লিটন। ৩৯ বলে ৫৫ রানের একটি ইনিংস খেলেন লিটন, যাতে ৭ চারের সঙ্গে ছিল একটি ছক্কার মার।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তৌহিদ হৃদয় (০)। অধিনায়ক মাশরাফি আরও একবার নেমে গিয়েছিলেন ওয়ান ডাউনে। তবে আজ ৪ বলে মাত্র ১ করে আউট হয়ে যান তিনি।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ওপেনার শান্ত আর মুশফিক মিলে ৫৬ বলে ৭৯ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেন। শান্ত ৪৫ বলে ৯ চার আর ১ ছক্কায় ৬৪ রানের ইনিংস খেলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মঈন আলির বলে।
পরে রায়ান বার্ল ১১ বলে ১৩, থিসারা পেরেরা ০ আর জর্জ লিন্ডে ৬ বলে ৯ রান করে ফিরে গেলে মুশফিক একাই হাল ধরেন। ৪৮ বলে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।