সরকারি দল না করলে চাকরি মেলে না, ব্যবসা করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা চাই।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্যের কারণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ম্লান হয়ে যাচ্ছে। ধনী ও দরিদ্রের ব্যবধান বেড়ে যাচ্ছে। তাই আমরা আইনের শাসন চাই। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতিতে দেশের মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। দেশের মানুষের সম্মান, সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তা নেই। বৈষম্যের কারণে একটি অসম রাষ্ট্র তৈরি হচ্ছে। এমন একটি দেশের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়নি।’
যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না দাবি করে জি এম কাদের বলেন, জিপিএ বাড়ছে, সার্টিফিকেট বাড়ছে। কিন্তু সঠিক শিক্ষাব্যবস্থার অভাবে শিক্ষার মান বাড়ছে না। কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থার পদক্ষেপ নেই। ফলে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলছে। বেসরকারি পর্যায়ে উন্নত মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে যেগুলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সাধারণ মানুষের পক্ষে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্তানদের পড়াশোনা চালানো সম্ভব হয় না। তাই বেশিরভাগ মানুষের পক্ষে সন্তানের জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
সংস্কৃতি একটি জাতির পরিচয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংস্কৃতিকে ভিত্তি করেই জাতীয়তা ও রাষ্ট্র গঠন হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলছি। আমাদের নিজস্বতা বিলুপ্ত হচ্ছে। ভিনদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনে আমাদের সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। সংস্কৃতি রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা দৃশ্যমান হচ্ছে না। নিজস্ব সংস্কৃতি সংকুচিত হলে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য হারিয়ে জাতি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু (এমপি) বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশে দুর্নীতি, দুঃশাসন, টাকা পাচার, সন্ত্রাস ও টেন্ডারবাজি উপহার দিয়েছে। দেশের অনেক উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু সাধারণ মানুষের কোনো উপকার হচ্ছে না।
জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি শেরীফা কাদেরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির নুরুন্নাহার বেগম, খন্দকার দেলোয়ার জালালী, মো. হাবিবুল্লাহ ফকির, রাজিব কান্তি গুহ, জিএম রাজু, চম্পা মন্ডল, হিমেল, মোস্তফা জামান বাবু, ফয়েজ মুন্না, মাহমুদা আমির শিল্পী, পংকজ দাস, মনোয়ার-ই-খোদা চৌধুরীসহ আরও অনেকে।