রাশিয়ার তেলের সর্বোচ্চ মূল্য বেঁধে দিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি পণ্যটির উত্তোলন কমিয়ে তাদের পাল্টা জবাব দিতে যাচ্ছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এতে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক ঘোষণা দিয়েছেন, আসন্ন মার্চ থেকে প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যারেল বা ৫ শতাংশের বেশি তেল উৎপাদন কমাবে দেশটি।
বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব। দ্বিতীয় স্থানে আছে রাশিয়া। এবার জ্বালানি পণ্যটির উত্তোলন কমাতে যাচ্ছে দেশটি।
এই খবরে আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের দর বেড়েছে ২ দশমিক ৫ শতাংশেরও বেশি। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৮৬ ডলার ৬ সেন্টে।
এক বিবৃতিতে রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার বলেন, এখন পর্যন্ত দেশে উৎপাদিত তেলের সবটুকু বিক্রি করছি আমরা। তবে বেঁধে দেয়া মূল্য যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে মেনে চলবে, তাদের কাছে তেল বিক্রি করব না।
তিনি বলেন, এই অবস্থায় মার্চ থেকে দৈনিক ৫ লাখ ব্যারেল তেলের উৎপাদন হ্রাস করবে রাশিয়া। বাজার সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে যা অবদান রাখবে।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ক্রেমলিন জানিয়েছে, এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতোমধ্যে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো এবং তাদের মিত্রদের জোট ওপেক প্লাসের কিছু সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করেছে রাশিয়া।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষদিকে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। সেটা এখনও অব্যাহত রেখেছে তারা। পশ্চিমা মহল বলছে, তেল বিক্রি করে এই আগ্রাসনে অর্থ জোগান দিচ্ছে রুশ প্রশাসন। এটি বন্ধ করতেই তাদের তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি সর্বোচ্চ ৬০ ডলার বেঁধে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জি৭ভুক্ত দেশগুলো।