তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে বৃহস্পতিবার ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। এ দিন সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে জাতিসংঘের প্রথম সহায়তাকারী দল পৌঁছেছে। তবে, ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকেপড়াদের জীবিত উদ্ধার করতে পারার আশা ম্লান হয়ে এসেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানান, তিনি সিরিয়া যাচ্ছেন। ভূমিকম্পে ধসে পড়া হাজার হাজার ভবনে উদ্ধার অভিযানে বাধা সৃষ্টি করেছে প্রচণ্ড ঠান্ডা। এ ছাড়া নিরাপদ আশ্রয় ও খাবার পানির অভাব ভূমিকম্পের শিকার বহু মানুষের জীবন হুমকিতে ফেলেছে।
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আন্তাকিয়ার একটি হাসপাতালের গাড়ি পার্কিংয়ে নিখোঁজদের সন্ধানে মরদেহের ব্যাগগুলো তন্নতন্ন করছিলেন আত্মীয়, যা ট্র্যাজেডির মাত্রার ইঙ্গিত দেয়।
সিরিয়ান শরণার্থী রানিয়া জাবুবি পরিবারের আট সদস্যকে হারিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার চাচিকে পেয়েছি, কিন্তু আমার চাচাকে পাইনি।
এখন কাউকে জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা কমে এসেছে। দুর্ঘটনা পরবর্তী ৭২ ঘণ্টাকে জীবিত উদ্ধার করার সবচেয়ে সম্ভাব্য সময় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা, যা পেরিয়ে গেছে।
সিরিয়ায় সোমবার ভোরে মানুষ ঘুমে থাকার সময় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। দেশটিতে গৃহযুদ্ধের কারণে আগে থেকেই বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ও বাস্তুচ্যুত ছিল।
ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বৃহস্পতিবার জানান, তিনি সিরিয়া যাচ্ছেন।
টুইটারে তিনি বলেন, আমি সিরিয়া যাওয়ার পথে। সেখানে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বাব আল-হাওয়া সীমান্ত ক্রসিংয়ের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, ইতোমধ্যে একটি ত্রাণবাহী বহর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছেছে, যা ভূমিকম্পের পর প্রথম।