শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশ দুটিতে নিহতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। খবর আল-জাজিরার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮৭৩ জন, অন্যদিকে সিরিয়ায় এ সংখ্যা তিন হাজার ১৬২জন।
এদিকে ভূমিকম্পের কারণে অ্যানাটোলীয় এবং আরবীয় টেকটনিক প্লেটের মধ্যে ২২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যুতিরেখা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে তুরস্ক তার আগের ভৌগোলিক অবস্থান থেকে ১০ ফুট দূরে সরে গেছে বলে দাবি করেছেন এক ভূবিজ্ঞানী।
ইতালির ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কার্লো ডগলিয়োনি আবার দাবি করেছেন, টেকটনিক প্লেটগুলির সঞ্চালনের কারণে তুরস্ক প্রায় ২০ ফুট পশ্চিমে সরে গেছে। তবে এটি প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ডগলিয়োনি। তার মতে, আগামী দিনে উপগ্রহচিত্রের মাধ্যমে এই ছবিটি আরও স্পষ্ট হবে।
অন্যদিকে, ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রাকচারাল জিওলজির অধ্যাপক বব হোল্ডসওয়ার্থ ডেইলি মেইলকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের যে তীব্রতা ছিল তাতে প্লেটের অবস্থান বদলের সম্ভাবনা স্বাভাবিক। তার কথায়, “৬ দশমিক ৫ থেকে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পের ফলে এক মিটার মতো প্লেটগুলি সরে যায়। তবে তার থেকে বড় মাপের কোনও কম্পনে ১০-১৫ মিটার সরে যেতে পারে প্লেটগুলি।”
হোল্ডসওয়ার্থের মতে, তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ তীব্রতার ভূমিকম্প এসেছে। ফলে এ ক্ষেত্রে প্লেটগুলি সরে যাওয়াটা খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।