বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরোর বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানায়, ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই ১২ হাজার ৩৯১ জন মারা গেছেন।
এদিকে সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিরিয়ায় সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ২০০ জনের বেশি বলে জানিয়েছে। এ ছাড়া বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে থাকা উদ্ধারকারী গোষ্ঠী হোয়াইট হেলমেট জানায়, সেখানে কমপক্ষে ১ হাজার ৬০০ জন মারা গেছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, তার দেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য দুটি অতিরিক্ত সীমান্ত গেট খুলে দিতে কাজ করছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন বলেন, সোমবারের ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সিরিয়া ও তুরস্কে আন্তর্জাতিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে আগামী মার্চে একটি সম্মেলনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
গত ২৪ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইস্তাম্বুল স্টক এক্সচেঞ্জ জানায়, ভূমিকম্পের প্রেক্ষিতে এটি পাঁচ দিন বন্ধ থাকছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান দুর্যোগ কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বড় ধরনের ভূমিকম্পের পর দেশটিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ অপর্যাপ্ত বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
এদিকে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যে কাতার সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০ হাজার ভ্রাম্যমাণ ঘরসহ ত্রাণসামগ্রী, পর্যাপ্ত পরিমাণ তাঁবু ও শীতবস্ত্রও পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে, স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে সিরিয়া এবং তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প এবং পরে আরও অনেকগুলো আফটারশক হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৩৯ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের পূর্ব এরজিনকান প্রদেশে ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালে দেশটির ডুজসে অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।