বগুড়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বগুড়া- ৪ (কাহালু–নন্দীগ্রাম) এবং বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে জাকের পার্টি মনোনীত দুই প্রার্থী আব্দুর রশিদ সরদার ও মোহাম্মদ ফয়সাল বিন শফিক সনি। – ছবি : নয়া দিগন্ত
আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের পর জাকের পার্টিরও বগুড়ার দুটি আসনের নির্বাচনী ফল প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই সাথে আগামী নির্বাচনে ইভিএম এ ব্যবহার না করার দাবি জানিয়েছে জাকের পার্টি।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সদ্য সমাপ্ত বগুড়া- ৪ (কাহালু–নন্দীগ্রাম) এবং বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে জাকের পার্টি মনোনীত দুই প্রার্থী যথাক্রমে আব্দুর রশিদ সরদার ও মোহাম্মদ ফয়সাল বিন শফিক সনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাকের পার্টির দুই প্রার্থী অভিযোগ করেন, নির্বাচনে ইভিএম এ ভোট গ্রহণ প্রশ্নবিদ্ধ। এর চিপসেট পরিবর্তন করা যায়। ভোট প্রদানকালে পছন্দের মার্কায় ভোট দিলে অন্য মার্কায় চলে যাওয়াসহ কারিগরী ত্রুটি দেখা দেয়। ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাধারণ ভোটাররা আমাদের কাছে এ বিষয় তুলে ধরেছেন।
এতে দেখা যাচ্ছে, একটি বাটনে চাপ দিয়ে ভোট আরেক মার্কার হিসেবে তুলে নেয়া যাচ্ছে। তারা বলেন, বগুড়ায় জাকের পার্টির প্রচুর ভোটার, কর্মী ও সমর্থক রয়েছে। কিন্তু আমাদের দু‘জনকে অল্প ভোটের কোঠায় রাখা হয়েছে যা অগ্রহণযোগ্য। আমরা গোলাপ ফুল প্রতীকে সামান্য ভোট দেখে মর্মাহত হয়েছি। তাই নির্বাচনী ফলাফল আমরা প্রত্যাখ্যান করলাম।
জাকের পার্টির দাবি ইভিএম নয়, প্রচলিত ব্যালটে ভোট হোক অথবা হ্যাকিংমুক্ত সর্বাধুনিক প্রযুক্ত ব্লক চেইন টেকনোলজি ও ইভোটিং প্রবর্তন করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুজ্জামানসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু–নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রশিদ সরদার গোলাপ ফুল প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট চার হাজার ৬৪ ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিন শফিক সনির প্রাপ্ত ভোট মাত্র ৪১৭।