গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘সরকার সদ্য অনুষ্ঠিত ছয়টি আসনের উপনির্বাচনও ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য করতে পারেনি। উত্তরবঙ্গে হিরো আলম দাঁড়িয়েছিলেন। মানুষ আগ্রহী হয়ে ভোট দিয়েছিল। তাকে স্যার বলতে হবে, এটা প্রশাসনের লোকেরা মানতে পারল না। তাই হিরো আলম জিতলেও, তাকে জিততে দেওয়া হয়নি।’
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্বসমাবেশে এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর প্রমুখ।
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘উন্নয়ন আর স্মার্ট বাংলাদেশের চক্রান্তে বিভ্রান্ত না হয়ে আপনারা রাজপথে নামেন। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য, দেশকে বাঁচানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলুন।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই সরকার মানুষকে উন্নয়নের বাংলাদেশ বলেছে। এখন বলছে স্মার্ট বাংলাদেশ। উন্নয়নের নামে সরকারের পোষ্য লোকেরা, ভাই-ব্রাদার, আত্মীয়-স্বজনরা সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশ থেকে টাকা পাচার করে বিদেশে নিয়ে হোটেল কিনছে, ব্যবসায় বিনিয়োগ করছে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ‘কথা ছিল ২০১৪ সালের মধ্যে বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করা হবে। এই বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো যখন বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, তখন আর ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আর কোনো দরকার হবে না। কিন্তু সরকার ভাড়া করা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ না করে, তাদের বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার গত কয়েকদিন আগে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এর ১৯ দিন আগে একবার বাড়ানো হয়েছিল। আগামী মাসে তারা আবার বিদ্যুতের দাম বাড়াবে। দেশের যেসব মানুষ খেতে পায় না, তাদের ঝোলা থেকে টাকা নিয়ে সরকার তাদের আত্মীয়-স্বজন, ভাই-ব্রাদারদের পকেট ভরানোর ব্যবস্থা করছে। এই হলো উন্নয়ন।’