দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাট ঘুরে এসে: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ৫শ’ পণ্যবাহী ট্রাক।
ফেরি বিকল ও নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে নদী পাড়ি দিতে ফেরিগুলোর অনেক বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে।
এছাড়া যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করায় ট্রাকগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
শনিবার (১৩ জুন) ভোরে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লউটিসি) আরিচা ইউনিট কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (মেরিন) আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই নদীতে প্রচণ্ড স্রোত সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলাচলকারী ফেরিগুলোকে আগের পথ পরিবর্তন করে নতুন পথে চলতে হচ্ছে। এতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ২০ মিনিটি বেশি লাগছে।
তিন কিলোমিটার দূরত্বের এ নৌপথ পার হতে ফেরিগুলোকে বেশি চলতে হচ্ছে এক থেকে দেড় কিলোমিটার। এতে ফেরিগুলো প্রতি ২৪ ঘণ্টার ট্রিপের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে।
আব্দুল কুদ্দুস আরো বলেন, ট্রিপের সংখ্যা কমলেও যানবাহনের সংখ্যা কমেনি। ফলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে পারাপার চলছে এক সপ্তাহ ধরে।
বিআইডব্লিউটিসির স্থানীয় সূত্র জানায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে বর্তমানে ছয়টি রো রো, পাঁচটি ইউটিলিটি ও তিনটি কে-টাইপ ফেরি চলাচল করছে। এর মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শুক্রবার সকাল থেকে পারাপার বন্ধ রেখেছে রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান। শনিবার সকালে পারাপার বন্ধ করেছে কে-টাইপ ফেরি কপোতী।
প্রচণ্ড স্রোত, দু’টি ফেরি বিকল ও যাত্রীবাহী যানবাহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাটে শতাধিক ট্রাক আটকা পড়ার কথা স্বীকার করেছেন বিআইডব্লিউটিসির দৌলতিদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম।
তবে শনিবার ভোরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে দেখা গেছে ট্রাকের সিরিয়াল। পাটুরিয়া ঘাটের পুরো টার্মিনাল ইয়ার্ড জুড়েও রয়েছে ট্রাক।
কে-টাইপ ফেরি কপোতীর মাস্টার শফিকুল ইসলাম জানান, প্রচণ্ড স্রোতের কারণে নদী পার হতে আগের চেয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে। ফলে প্রতিটি ফেরির গড়ে চার থেকে পাঁচটি কমে ট্রিপ কমে গেছে।