৯ মাসের মধ্যে ডলারের দাম সবচেয়ে কম

Slider অর্থ ও বাণিজ্য


আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দাম কমছেই। বুধবার (১ জানুয়ারি) মার্কিন মুদ্রাটির মূল্য আরও হ্রাস পেয়েছে। গত ৯ মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ইউএস কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেছেন, মূল্যস্ফীতির চাপ কিছুটা কমেছে। তবে সেটা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও কিছুদিন কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ করতে হতে পারে।

এদিন ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার বাড়িয়েছে ফেড। সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দিয়েছেন পাওয়েল। তিনি বলেন, ঋণের খরচ বাড়ছে। ফলে সামনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। কিন্তু এক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতিতে লাগাম টানাকে প্রাধান্য দেয়া হবে।

নিউইয়র্কে ওএএনডিএ’র জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক এডওয়ার্ড মোয়া বলেন, মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আর একবারই সুদ হার বাড়াতে পারে ফেড। ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদগুলোর জন্য এই খবর খুবই ভালো। এতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান মুদ্রা ইউরোর দর বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে ডলারের অধিক দরপতন ঘটতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে ডলার সূচক ১০১ দশমিক ০৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। গত ২২ এপ্রিলের পর যা সবচেয়ে কম। প্রতি ইউরোর দাম উঠেছে ১ দশমিক ১০০২০ ডলারে। ২০২২ সালের ৪ এপ্রিলের পর যা সর্বোচ্চ।

শুধু তাই নয়, জাপানি ইয়েনের বিপক্ষেও গ্রিনব্যাকের দরপতন হয়েছে। গত ২০ জানুয়ারির পর যেটা সর্বনিম্ন। ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিং ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। পাউন্ডপ্রতি মূল্য স্থির হয়েছে ১ দশমিক ২৩৯১০ ডলার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *