ফল কখন খাবেন এ নিয়ে নানা জনের নানা মত। কেউ বলছেন, খালি পেটে পানি আর ভরা পেটে ফল খেতে হয়। আবার কেউ বলেন, সন্ধ্যার আগে ফল খেয়ে নেওয়া উচিত। গবেষণা বলছে, মানে যতই ভালো হোক না কেন, ফলের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে ফল খেতে হবে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে। তবেই ফলে থাকা ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজ শরীরের উপকারে আসবে।
ফল খাওয়ার ভালো সময়
সকাল বেলা খালি পেটে স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী যে কাজটি সেটি হলো- একটি ফল খাওয়া। যেহেতু পেট খালি, তাই এই অভ্যাস ফলটির পুষ্টি শরীরে গ্রহণে সহায়তা করবে। এ ছাড়া ফলটি হজম করতে পাকস্থলীকেও তেমন বেগ পেতে হয় না।
তবে যাদের পাকস্থলীতে আলসার কিংবা বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা আছে তাদের সকালে খালি পেটে ফল খাওয়া উচিত নয়। আবার শিশু, বৃদ্ধ বা যাদের পাকস্থলি দুর্বল তাদের এই অভ্যাস এড়াতে হবে। কারণ, কমলাজাতীয় ফল, আনারস, আঙুর ইত্যাদিতে থাকে অ্যাসিডিক অ্যাসিড, যা গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়ায় এবং আলসার ও বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা বাড়তে পারে।
দুই বেলা খাওয়ার মাঝে ফল খাওয়া
স্ন্যাকস বা নাস্তা হিসেবে ফল খাওয়া বিপাক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। তাই যেকোনো দুই বেলার খাওয়ার মাঝে ফল খাওয়া খুবই ভালো। তা ছাড়া রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে ফল। আর স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খেলে শরীরে যেমন চর্বি জমবে না, তেমনি ক্ষুধাবোধও কম হবে।
ফল খাওয়ার ভুল সময়
খাওয়ার পর ফল খাওয়া কখনো উচিত নয়। ধারণা রয়েছে, খাওয়ার পর ফল খাওয়া হজমে এবং ক্যালরি ভাঙতে সাহায্য করে, যা ঠিক নয়। কারণ, ফলে রয়েছে নিজস্ব মিষ্টিজাতীয় উপাদান ও ক্যালরি। যা শুধুই ক্যালরির পরিমাণ বাড়ায়।
যে ফল খেতে হবে অল্প
মিষ্টিজাতীয় উপাদান আছে এমন ফল যেমন- বেদানা, আম, আঙুর, লিচু, তরমুজ ইত্যাদি পরিমাণ মতো খেতে হবে। বিশেষ করে যাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি হওয়ার সমস্যা রয়েছে তাদের। এ সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য আদর্শ ফলগুলো হলো- পেঁপে, আনারস, পাম, রাসবেরি, নাসপাতি, স্ট্রবেরি, পিচ ও আপেল।
ঘুমানোর আগে যে ফল খেতে হবে
ঘুমানোর আগে আপেল, কলা, কিউই, চেরি খেতে পারেন। কারণ, এতে থাকে প্রাকৃতিক ‘সেরোটনিন’, ‘মেলাটনিন’ ও ‘ট্রিপ্টোফান’ নামক উপাদান যা শরীর ও মনকে শান্ত করে এবং রাতের ঘুম ভালো হতে সহায়তা করে। আম, আঙুর ইত্যাদি ফল ঘুমানোর আগে এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ, এগুলো মস্তিষ্ককে সচল রাখে এবং ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।