পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারের পুলিশ লাইন্স মসজিদে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ইমামসহ অন্তত ৩২ জন নিহত ও ১৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ডন। তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
সোমবার দুপুরে জিও নিউজ পুলিশের সূত্রে জানায়, এক হামলাকারী মসজিদে প্রবেশ করে বিস্ফোরণটি ঘটান। এতে তিনি নিজেও নিহত হন।
সূত্র মতে- বিস্ফোরণের সময় মসজিদটিতে জোহরের নামাজের জামায়াত চলছিল। এর মধ্যেই বিস্ফোরণটি ঘটে।
দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জিও নিউজকে বলেছেন, নামাজের সময় সামনের সারিতে উপস্থিত ছিলেন আত্মঘাতী হামলাকারী। সেখানে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
খবরে বলা হয়েছে, হামলায় মসজিদের ইমামও নিহত হয়েছেন। হামলার পর পেশোয়ার ছুটে গেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ। তাৎক্ষণিকভাবে প্রধানমন্ত্রীসহ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো।
ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে এবং জায়গাটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
পরে উদ্ধারকারীরা আহতদের উদ্ধার ও শুশ্রুষা শুরু করেন। তারা জানিয়েছেন, আহতদের স্থানীয় লেডি রিডিং হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
খাইবার পাখতুনখোয়ার তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ আজম খান পেশোয়ারের সব হাসপাতালে চিকিৎসা জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। অন্তর্বর্তীকালীন এই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধারকারী সব সংস্থাকে ত্রাণ তৎপরতার গতি ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মসজিদটি এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকায় অবস্থিত, যেখানে গভর্নর হাউসসহ রয়েছে একাধিক সরকারি স্থাপনা।
এই হামলায় হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছে পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো।
সূত্র : জিও নিউজ, ডন ও ডেইলি জঙ্গ