আন্তর্জাতিক বাজারে বুধবারও (১৮ জানুয়ারি) স্বর্ণের দাম কমেছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার উচ্চ রাখার আভাস দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) কর্মকর্তারা। এতে দামি ধাতুটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গিয়েছিল ডলারের মূল্য। সেই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা। বর্তমানে সেটি স্থিতিশীল আছে। ফলে অন্যান্য মুদ্রা ধারণকারীদের কাছে আকর্ষর্ণ হারিয়েছে স্বর্ণ।
এদিন আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের স্পট মূল্য শূন্য দশমিক ২ শতাংশ নিম্নমুখী পেয়েছে। প্রতি আউন্সের দাম স্থির হয়েছে ১৯০৪ ডলার ৮৪ সেন্টে। আগের দিন মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) যার দর ছিল ১৯০৪ ডলার ৮৭ সেন্ট। গত সোমবার (১৬ জানুয়ারি) যা ছিল ১৯১৮ ডলার ৬৬ সেন্ট।
একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের সরবরাহ মূল্য পড়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।আউন্সপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ১৯০৭ ডলারে। আগের দিন মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) যার দর ছিল ১৯০৯ ডলার ৯ সেন্টে। গত সোমবার যা ছিল ১৯২৩ ডলার ২০ সেন্ট। অর্থাৎ টানা ৩ দিন ধরে দামি ধাতুটির দরপতন ঘটছে।
গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি কমেছে। ফলে সুদের হার কম বাড়াতে পারে ফেড বলে আশায় বুক বেঁধেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু এখন বেশি বাড়ানোর কথা বলছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি-নির্ধারকরা।
এমনটি হলে আবার ইউএস ডলার ও ট্রেজারি ইল্ড ঊর্ধ্বমুখী হবে। ফলে ব্যবসায়ীদের কাছে আবেদন কমবে স্বর্ণের। বুলিয়ন মার্কেটে নেতিবাচক প্রভাব দেখা দেবে।
জিওজিত ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের পণ্য গবেষণা প্রধান হারিশ ভি বলেন, আগামীতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কি থাকে এবং ফেড কোন ধরনের পলিসি গ্রহণ করে, সেটার ওপর নির্ভর করবে স্বর্ণের দর কেমন থাকবে।