রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম জামিনে মুক্ত হয়েছেন। সেখানে তার পাহারায় থাকা কারারক্ষীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. সেলিম সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুপুরের দিকে হাজী সেলিমের জামিনের কাগজপত্র হাতে পেয়ে তাকে মুক্তি দিয়ে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে পাহারার দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীদের নিয়ে আসা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউর রহমান বলেন, জামিনে মুক্তি পাওয়ার কিছু সময় পরে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
গত ৬ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জামিন দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ। একইসঙ্গে তাকে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আদালতে হাজী মোহাম্মদ সেলিমের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে দুই ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হাজী সেলিম রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাইকোর্টে আপিল করেন। আপিল শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট সাজা বাতিল করেন। পরে দুদকের আপিলে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেন। ২০২১ সালের ৯ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ ১০ বছরের দণ্ড বহাল রাখেন।
গত ২২ মে হাইকোর্টের রায় অনুসারে আত্মসমর্পণ করার পর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক শহিদুল ইসলাম তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এরপর ২৪ মে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় সাজার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল এবং জামিন আবেদন করেন হাজী সেলিম।