বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের করা আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় ক্ষেপেছেন হিরো আলম। তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
হিরো আলম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছিলাম। সেখানেও আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অন্যায় করা হচ্ছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।’
গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। ভোটার তালিকায় গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুপুর ১টার দিকে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। এরপর মনোনয়ন গ্রহণ ও বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে গত ১০ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে আপিল করেন হিরো আলম। সেই আপিলও গত ১২ জানুয়ারি খারিজ করেন নির্বাচন কমিশন।
এ ব্যাপারে হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার নির্বাচন করা নিয়ে অনেকের মাথাব্যথা শুরু হয়েছে। আমার জনপ্রিয়তায় অনেকেই ভীত-সন্ত্রস্ত। এ কারণে ষড়যন্ত্র করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের দুটি আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে করা আপিল আবেদন খারিজ করেছে নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, দলীয় সিদ্ধান্তে দুটি আসন থেকে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করায় বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। এই দুই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন হিরো আলম।
১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর গরমিলের কারণ দেখিয়ে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।