ফতুল্লা থেকে: বৃষ্টির আশংকা নিয়েই ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট ম্যাচ। বুধবার (১০ জুন) সকাল থেকেই মেঘে ভারী হয়ে ওঠে ফতুল্লার আকাশ। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি বিঘ্নতায় আপাতত খেলা বন্ধ রয়েছে।
ভারী মেঘের কারণে মাঠে আলোর স্বল্পতা দেখা দেওয়ায় ফ্লাড-লাইটের আলোতে শুরু করতে হয় ম্যাচ।
এ রিপোর্ট লেখা অবধি ২৩.৩ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০৭ রান। ধাওয়ান ৭৪ রানে আর বিজয় ৩৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, ১১টা থেকে হাল্কা বৃষ্টি এবং সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারী বর্ষনের সম্ভাবনা রয়েছে ফতুল্লায়। এই প্রতিবেদন লেখা অবধি ঢাকার কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
২০০৭ সালে বৃষ্টির কারণেই ভারতের বিপক্ষে একবার ড্র করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তৃতীয় দিনটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ ‘ড্র’ করে বাংলাদেশ।
বৃষ্টি-বিঘ্নিত সে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে শচিন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলির সেঞ্চুরিতে আট উইকেটে ৩৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। মাশরাফি বিন মর্তুজার ৭৯ রানে ভর করে ২৩৮ রান করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১০০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা।
বাংলাদেশকে ২৫০ রানের টার্গেট দেয় ভারত। জবাবে জাভেদ ওমর বেলিম ও হাবিবুল বাশারের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ২৮ ওভার ব্যাটিং করে দুই উইকেটে ১০৪ রান করে টাইগাররা। শেষ ১৫ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন হয় ১৪৬ রান। আর ভারতের চাই আট উইকেট। দুই অধিনায়কের সম্মতিতে শেষ পর্যন্ত ‘ড্র ’মেনে নেওয়া হয়। চার ইনিংস মিলে ২১৯ ওভার মাঠে গড়ায়।