গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, সরকারের লাইফ লাইন ৬ মাস। যেভাবে বিরোধী দলসমূহ রাজপথে আন্দোলনে নেমে গেছে, এভাবে আন্দোলন করতে পারলে শিগগিরই সরকারের পতন হবে। এ সরকার সংবিধানকে কেটে-ছিঁড়ে গণ-বিরোধী সংবিধানে পরিণত করেছে। এ সংবিধান দিয়ে দেশ চলবে। দেশ-জাতির প্রয়োজনে নতুন সংবিধান রচনা করতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
ইসরাইল থেকে ফোনে আড়িপাতার যন্ত্রপাতি ক্রয়, গোয়েন্দা নজরদারির নামে নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা হরণ, মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার রাজবন্দীদের মুক্তি, বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার ও ডিজিট্যাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে গণ-অধিকার পরিষদ।
নুর বলেন, এই সরকারের আয়ু ৬ মাস। কাজেই সরকারি দলের নেতাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভালোভাবে সেইফ এক্সিট নিবে নাকি গণরোষে নিষ্ঠুরভাবে বিদায় নিবে।
বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম কমলেও সরকার দেশে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে মন্তব্য করে ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, সরকার বিদ্যুতের দাম তড়িঘড়ি করে বাড়িয়েছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে ইভিএমের টাকার জন্য। সরকার চাইলেও ১৪ এবং ১৮ সালের মতো আর বিনা ভোটের নির্বাচন করতে পারবে না।
ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও সরকার কয়েক শ’ কোটি টাকার নজরদারি যন্ত্রপাতি গোয়েন্দা নজরদারির নামে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা হরণ করা সংবিধান পরিপন্থী, বেআইনি কাজ, মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলেও জানান তিনি।
নুর বলেন, আওয়ামী লীগের গুজব এবং অপপ্রচার সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে বিরোধীদের নিয়ে গুজব ছড়াবে। জনগণকে বলবো গুজব এবং অপ্রচারের কান দিবেন না। সাংবাদিক ভাই ও মিডিয়ার মালিকদের বিনয়ের সাথে অনুরোধ করবো- আপনারা মানুষের ব্যক্তিগত ফোন আলাপ টেলিভিশনে প্রচার করবেন না। সরকার ক্ষমতায় থাকতে নানা ষড়যন্ত্র ও নীল নকশা নিয়ে এগুচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৪-১৫ সালের মতো সরকার অগ্নিসংযোগ করে বিরোধীদের উপর দায় চাপাতে চায়। এমনকি তারা বিরোধীদের ফাঁসাতে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের উপরও হামলা করতে পারে। তাই প্রশাসনকে বলবো আপনারা অবৈধ সরকারের সঙ্গ ছেড়ে জনগণের সাথে থাকেন।
গণ-অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান খানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, গণ-অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, ফারুক হাসান, আবু হানিফ প্রমুখ।