টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্ততি। আগামী ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের প্রথম পর্বের (জুবায়েরপন্থি) বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে। এর পর ৪ দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের অনুসারী (মাওলানা সাদপন্থি) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন।
বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে মসজিদের খুতবায় অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বার্তা না দিয়ে সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রচার করতে নির্দেশনা দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। আজ মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জুমার প্রাক-খুতবায় ও ওয়াক্তিয়া নামাজের আগে-পরে মসজিদের মাইক থেকে অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড পরিহারের করতে হবে। এ বিষয়ে সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রচারের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এতে আরও জানানো হয়, দেশের সব মসজিদের পরিচালনা কমিটি, সম্মানিত ইমাম, খতিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মীদের এ বিষয়ে সচেতনতামূলক বক্তব্য নিয়মিত প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার ও রউপটপ থেকে পুরো ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এ ছাড়া প্রতিটি খিত্তায় সাদা পোশাকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। অগ্নিনির্বাপণের জন্য প্রতি খিত্তায় এবার দুটি করে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা হবে। তুরাগ নদে নৌটহলও থাকবে