ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি সুনামধন্য গ্রুপ এস আলম। তাদের নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি ব্যাংক পরিচালিত হচ্ছে, তারা ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান, তাদের বিরুদ্ধে উসকানি শুরু করেছে জামায়াত-শিবির চক্র। তারা বলছে, ব্যাংকের টাকা লুট হয়ে গেছে, সংকট চলছে। এভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিং করা হচ্ছে। আমরা তদন্ত করে দেখলাম, এটা পুরোপুরি একটা গুজব। বাংলাদেশ ব্যাংক যে পরিপত্র বার বার জারি করছে, সেখানে আমরা দেখেছি, দেশে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরসহ দেশবিরোধী চক্র দেশের ব্যাংক ও আর্থিকখাত নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। গুজব রটনাকারীদের অনেকেই বিদেশে অবস্থান করছেন, অনেকেই ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রথম দিকের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন। অনেকের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে ডিএমপি।’
আজ সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘যারা না জেনে, ব্যাংকে না গিয়ে এভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের আমরা গ্রেপ্তার করেছি, তারা সবাই জামায়াত-শিবিরের সমর্থক। তারা এটি স্বীকার করেছেন। তাদের সঙ্গে আরও কারা কারা আছেন, কারা বিদেশ থেকে এ ধরনের নীতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে, সেটার তথ্য আমরা পেয়েছি। পরবর্তীকালে সবকিছু তদন্তে বের হয়ে আসবে। তবে প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, জামায়াত-শিবিরের একটি গ্রুপ যারা ব্যাংকে টাকা নেই এই গুজবটি রটাচ্ছে। টাকা নেই এটি সম্পূর্ণ গুজব।’
ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের সমর্থক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছেন, তারা সেখান থেকে স্যোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কথা বলে চলেছেন। আবার বাংলাদেশেও তাদের কিছু লোক রয়েছে, তাদের নাম আমরা পেয়েছি, রিমান্ডে এনে তথ্য পেলে আপনাদের পরে জানাব। তারা ব্যাংক খাত নিয়ে গুজব রটাচ্ছে; বলছে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ফেলুন। এটা আসলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা, দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করা এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলাই তাদের মূল লক্ষ্য।’