আন্তর্জাতিক বাজারে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) স্বর্ণের দাম কমেছে। এর আগে ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির দর। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
তাতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মূল্য স্থির হয়েছে। কয়েকদিন পর চাকরির তথ্য প্রকাশ করবে যুক্তরাষ্ট্র। আপাতত সেদিকে নজর রাখছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ, ওই পরিসংখ্যান মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমা ও বৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলবে।
এদিন আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের স্পট মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। প্রতি আউন্সের দাম স্থির হয়েছে ১৮৪৮ ডলার ৪০ সেন্টে। আগের কার্যদিবসের যার দর ছিল গত ১৩ জুনের মধ্যে সর্বোচ্চ।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের সরবরাহ মূল্য বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। আউন্সপ্রতি যার দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ১৮৫৪ ডলার ২০ সেন্টে।
গত ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর দুই দিনব্যাপী নীতি-নির্ধারণী বৈঠক করেন ফেডের কর্মকর্তারা। সেখানে আবারও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দেন তারা। ফলে সুদের হার বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা পাওয়া যায়নি।
স্যাক্সো ব্যাংকের পণ্য কৌশলের প্রধান ওলে হ্যানসেন বলেন, ফেড পরিষ্কার করে কিছু বলেনি। এজন্য আমরা নতুন করে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছি না।
তবু স্বর্ণের দাম কমেছে। এর মানে আবার সুদের হার বাড়াতে পারে ফেড। আপাতদৃষ্টিতে, সেই আভাসই মিলছে। এমনটি হলে অদূর ভবিষ্যতে মূল্যবান ধাতুটির দর আরও কমতে পারে।
তিনি বলেন, বছরের শুরুতে পণ্যের দাম বাড়া-কমা নিয়ে একটু কম ভাবেন ব্যবসায়ীরা। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের মূল্য ১৮৬৫ ডলারে ওঠে। ফলে অনেক দিন পর মুনাফার মুখ দেখেন বিনিয়োগকারীরা।