কক্সবাজার: সাগরে ভাসমান অবস্থায় মিয়ানমারের জলসীমা থেকে উদ্ধার হওয়া ২০৮ অভিবাসীর মধ্যে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত ১৫০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে সোমবার ফেরত আনতে যাচ্ছে বিজিবি।
গত ২১ মে সাগরে ভাসমান অবস্থায় ওই ২০৮ জনকে উদ্ধার করে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। পরে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এদের মধ্যে ২০০ জন বাংলাদেশি রয়েছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবির নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গত ২৪ মে মিয়ানমার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ উদ্ধারকৃত বাংলাদেশি দাবির পাশাপাশি তাদের ফেরত নিতে বললে ওই সফর স্থগিত করা হয়। এছাড়া উদ্ধারকৃতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়ে মিয়ানমারের সীমানরক্ষী বাহিনীর কাছে চিঠি পাঠায় বিজিবি।
কিন্তু ওইদিন মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ যে তালিকা পাঠায় তা ছিল বিভ্রান্তিকর ও অপূর্ণাঙ্গ। তালিকাটি ওইদিনই বিজিবির সদর দপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় এবং পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়ে মিয়ানমারের কাছে আরেকটি চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে বিজিবির কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. খালেকুজ্জামান জানান, সম্প্রতি মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ২০০ জনের একটি তালিকা পাঠানো হয়। তালিকাটি যাচাই-বাছাই করে ১৫০ জনকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসাবে সনাক্ত করা হয়।
তিনি জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশের ঘুমধুম ও মিয়ানমারের ঢেকিবনিয়া সীমান্তে বিজিবির সাথে মিয়ানমার বর্ডার পুলিশের (বিজিপি) পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশি হিসেবে সনাক্ত ১৫০ জনকে ফেরত আনা হবে।
এদিকে, গত ২৯ মে মিয়ানমার নৌবাহিনী আরো ৭২৭ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে। এদের মধ্যেও বাংলাদেশি রয়েছে বলেও দাবি মিয়ানমারের। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলাপ আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।