ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘ডিবি বললেই গাড়িতে উঠবেন না। আপনারা যাচাই করবেন। প্রয়োজনে আশপাশের মানুষের সহযোগিতা নেবেন। আপনারা সচেতন হলে অপ্রীতিকর সমস্যার সমাধান সম্ভব।’
আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারী ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমাদের ডিবির নাম ব্যবহার করে অনেককেই তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তারা ডিবির কথা বলে তুলে নিয়ে যায়। কেউ ডিবি পুলিশ বললেই গাড়িতে উঠে যাবেন না। আপনারা এক্ষেত্রে ভুয়া ডিবি পুলিশ কিনা তা যাচাই করবেন। প্রয়োজনে ৯৯৯ কল দিয়ে নিশ্চিত হবেন।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আসতে চান না। আপনারা আমাদের কাছে আসলে আমরা তার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছি। তাদের রিমান্ডে নিয়ে আর কেউ এর সঙ্গে জড়িত কিনা তা শনাক্ত করার চেষ্টা করি।’
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ বিষয়ে তিনি জানান, ঢাকা মহানগর এলাকার বিভিন্ন ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আশপাশে ঘোরাফেরা করে। ব্যাংকে টাকা জমা দিতে আসা কিংবা টাকা উত্তোলন করতে আসা ব্যক্তিদের এরা টার্গেট করে। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া ডিবি পরিচয়ে অপারেশন চালিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, তারা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে এসব কার্যক্রম চালাতো। তাদের গ্রুপের প্রধান শহীদুল ইসলাম মাঝি, যার বিরুদ্ধে সারা দেশে মোট ১৬টি মামলা রয়েছে। শহীদুল ইসলাম মাঝিকে ডিবি পুলিশ একাধিকবার গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
রোববার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারী পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (মতিঝিল) বিভাগ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- লিথুয় সুর (২৭), মো. হারুন (৩৮), জোবায়ের হোসেন পারভেজ (২৮), মো. আরিফ হোসেন (২৯) ও খোকন চন্দ্র দেবনাথ (৪২)। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি কালো রংয়ের নোয়া-মাইক্রোবাস, একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার,দুটি পুলিশের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট ও একটি হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করা হয়।