গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে একটি মাদি হাতির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে পার্ক কর্তৃপক্ষ শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়রী করেছেন। গত ২২ডিসেম্বর পার্কে হাতিটির মৃত্যু হলেও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গণমাধ্যমের আড়ালের চেষ্টা চালায়। এদিকে ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়ায় এটি স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা বলে দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ।
পার্ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য মতে, সাফারী পার্কে মোট ৯টি হাতি ছিল। এর মধ্যে ৭টি পুরুষ ও ২টি মাদি। একটি হাতি মারা যাওয়ায় এখন হাতির সংখ্যা ৮টি।
এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে সাফারী পার্কে ১১টি জেব্রা মারা যায়। সেটিও কর্তৃপক্ষ গোপনের চেষ্টা চালায়। পরে তা গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে বন বিভাগে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সে ঘটনায় পার্কের প্রকল্প পরিচালকসহ বেশ কয়েকজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর থেকে পার্কে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশের বিষয়ে বেশ কড়াকড়ি করে কর্তৃপক্ষ। গণমাধ্যমকর্মীদের পার্কে প্রবেশ ও তথ্য প্রদানে অসহযোগিতা করছে তারা।
সাফারী পার্কের প্রকল্প পরিচালক ইমরান আহমেদ বলেন, ‘মৃত্যু একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এ হাতিটিরও স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে। আমরা ময়নাতদন্ত করেছি। এর রিপোর্টও স্বাভাবিক এসেছে। এ ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সে রিপোর্ট এখনো আসেনি। গণমাধ্যমের এসব নেতিবাচক খবর প্রকাশ না করায় সমীচীন হবে।’
এ বিষয়ে সাফারী পার্কের ভেটেরিনারী চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে পরে কথা বলবেন বলে তা কেটে দেন। পরে আর তা গ্রহণ করেনি।
সাফারী পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
হাতি মারা যাওয়ার বিষয়ে প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী বলেন, এ হাতিটির বয়স ছিল প্রায় ৪৮ বছর। সে একটু চঞ্চল প্রকৃতির ছিল। তার সঙ্গে অপর একটি হাতির সংঘর্ষ হলে সে পিলারের সঙ্গে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল। পরে সে মারা যায়। এ বিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। সাত কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে তখন প্রকৃত কারণ জানা যাবে।