নাম ছিল ‘এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্টো’। তবে এ নামে নয়, তারকা খ্যাতি মেলে ‘পেলে’ নামে। আর ‘পেলে’ নামটি সহ্যই হতো না ব্রাজিল কিংবদন্তির। কেউ এ নামে ডাকলে রেগে যেতেন। স্কুলে একবার সহপাঠীদের সঙ্গে মারামারি হয় শুধু এই নামে ডাকার কারণে। সে সময়ে পেলেকে দুই দিন স্কুলে যেতে নিষেধও করেছিল কর্তৃপক্ষ।
পেলে একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিখ্যাত আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসনের নাম অনুসারে তাঁর বাবা নাম রাখেন এডসন আরান্তেস। এই নামটিই তাঁর বেশি প্রিয়। পেলে নামে ডাকলে তাঁর রাগ হয়। যদিও পরে পেলে নামেই অভ্যস্ত হয়ে যান তিনি।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, ‘পেলে’ শব্দের অর্থ তিনি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তাতে এই নামে ডাকাকে অপমান হিসেবে নিতেন তিনি। কিন্তু যখন দেখলেন হিব্রুতে এই নামের একটি অর্থ রয়েছে, তা হলো—‘অলৌকিক ঘটনা’, এটি দেখার পরে আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন ফুটবল রাজা পেলে।
অবশ্য নামের মতোই তিনি অলৌকিক ঘটনা ঘটান ফুটবল বিশ্বে। বৈশ্বিক আসরে জিতে নেন তিনটি শিরোপা। এ কৃতিত্ব এখন পর্যন্ত গড়তে পারেনি অন্য কোনো ফুটবলার। ব্রাজিলের হয়ে পেলে ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপ জেতেন।
বৃহস্পতিবার রাতে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮২ বছর বয়সী পেলে। এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ক্যানসার আক্রান্ত পেলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ব্রাজিলের সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
পেলে