সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি গণমিছিল নিয়ে আজ ঢাকার রাজপথে নামছে বিএনপি ও সমমনা অন্তত ৩০ টি দল। দুপুরের পর দলগুলো আলাদাভাবে পালন করবে এ কর্মসূচি।
এ লক্ষ্যে শুক্রবার সকাল থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
গণমিছিল কেন্দ্র করে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে দলগুলো। বিশেষ করে বিএনপি আজকের গণমিছিলে বড় জমায়েত করতে চায়। কর্মসূচি সফলে সমমনা দল ও জোটের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে বিএনপি। রাজধানীর কয়েকটি স্পটে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে কর্মসূচি পালনে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড থেকে। গণমিছিল কেন্দ্র করে তৃতীয় কোনো পক্ষ যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘদিন পর ঘোষণা দিয়ে ঢাকায় মাঠে নামছে জামায়াত। ঢাকার পাশাপাশি রংপুর বিভাগে পালিত হবে এ কর্মসূচি।
আজকের গণমিছিল থেকে ঘোষণা করা হবে নতুন কর্মসূচি। তবে আপাতত হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি আসছে না। মানববন্ধন কিংবা গণ-অনশনের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি আসতে পারে। নতুন কর্মসূচি চূড়ান্তে সমমনা দলগুলোর মতামত নেওয়া হয়েছে।
হিউম্যান চেইন (মানববন্ধন), গণ-অনশন, গণ-অবস্থান, রোডমার্চ, লংমার্চসহ আরও নতুন কর্মসূচির ব্যাপারে তারা পরামর্শ দেন। সমমনা দলগুলোর মতামত নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হয়। সেখানেই চূড়ান্ত হয় পরবর্তী কর্মসূচি। ১১ জানুয়ারি ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
গণমিছিলের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, গণমিছিল সফল করতে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের দুপুর আড়াইটার মধ্যে নিজ স্থানে থেকে সার্বিক সহযোগিতার অনুরোধ জানান তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশনা অনুযায়ী, এ তালিকা করা হয়েছে বলে জানান গণমিছিলের প্রধান সমন্বয়কারী।
গণমিছিলের মূল ট্রাকে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।
গণমিছিলে সার্বিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবেন ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আমানউল্লাহ আমান, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বেনজীর আহমেদ টিটো, তাইফুল ইসলাম টিপু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, নবী উল্লাহ নবী, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, হাবিবুর রশীদ হাবিব, বেলাল আহমেদ, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, হায়দার আলী লেলিন, খান রবিউল ইসলাম রবি, অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান সুরুজ, অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক-সদস্য সচিব।
রাজধানীর নাইটিঙ্গেল মোড় থাকবে মহিলা দল। মহিলা দলের পর ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সঙ্গে থাকবেন বিলকিস জাহান শিরিন, শিরিন সুলতানা, শামা ওবায়েদ, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, রেহেনা আক্তার রানু, রাশেদা বেগম হীরা, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, নেওয়াজ হালিমা আরলী, শাম্মি আক্তার, নিলুফার চৌধুরী মনি, মিসেস রাবেয়া সিরাজ, মিসেস জাহানারা বেগম, অর্পনা রায় দাস।
সাবেক মহিলা এমপিদের সমন্বয় করবেন আহমেদ আজম খান এবং হাবিবুর রশিদ হাবিব।
নাইটিঙ্গেল মোড়ে থাকবে ঢাকা মহনগর উত্তর বিএনপি। নেতৃত্ব দেবেন ঢাকা মহানগর (উত্তর) বিএনপি আমানউল্লাহ আমান, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান মিনু, জয়নাল আবেদীন ফারুক, গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, আমিনুল হক, নাজিম উদ্দিন আলম, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, তাবিথ আউয়াল, রফিক সিকদার, কাজী রফিক, বজলুল বাসিত আঞ্জু। তাদের সমন্বয় করবেন আমিনুল হক ও হায়দার আলী লেলিন।
ঢাকা ব্যাংকের সামনে থাকবে ছাত্রদল। এখানে আরও থাকবেন ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আজিজুল বারী হেলাল, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, আকরামুল হাসান, আবু সাঈদ, বালুল করিম চৌধুরী আবেদ, ফজলুর রহমান খোকন। সমন্বয় করবেন ইকবাল হোসেন শ্যামল।
আনন্দ ভবনের সামনে থাকবে কৃষক দল। নেতৃত্বে থাকবেন শামসুজ্জামান দুদু, হাবিবুর রহমান হাবিব, জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, ওয়ারেস আলী মামুন, একরামুল হক বিপ্লব, হায়দার আলী লেলিন, আব্দুল মতিন, ওবায়দুল হক নাসির, শেখ শামীম, দুলাল হোসেন, মোশাররফ হোসেন। সমন্বয় করবেন দুলাল হোসেন।
হকস বের সামনে থাকবে স্বেচ্ছাসেবক দল। নেতৃত্বে হাবিব উন-নবী খান সোহেল, মীর শরফত আলী সপু, মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল। সমন্বয় করবেন ওমর ফারুক শাফিন।
পেশাজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা দল থাকবে ভিক্টোরি হোটেলের সামনে। নেতৃত্ব দেবেন ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট জায়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ডা. আবদুল কুদ্দুস, অধ্যাপক সুকমল বড়ুয়া, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ডা. রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেজবা, কাদের গনি চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান। সমন্বয় করবেন রবিউল ইসলাম রবি।
নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থাকবেন আফরোজা খান রীতা, মনিরুল হক চৌধুরী। সমন্বয় করবেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ ও বেনজীর আহমেদ।
কড়াই গোস্তের সামনে থাকবে যুবদল। নেতৃত্বে থাকবেন বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাইফুল আলম নিরব, মীর নেওয়াজ আলী। সমন্বয় করবেন বেলাল আহমেদ।
চায়না মার্কেটের সামনে থাকবে ঢাকা জেলা বিএনপি। নেতৃত্বে থাকবেন আবদুল আউয়াল মিন্টু, বেনজির আহমেদ টিটো, খন্দকার মাশুকুর রহমান, ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন। সমন্বয় করবেন মশিউর রহমান বিপ্লব।
জোনাকি হলের সামনে শ্রমিক দলকে নেতৃত্ব দেবেন মোহাম্মদ শাহজাহান, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, শরিফুল আলম, মাহাবুবুল হক নান্নু, হুমায়ুন কবির খান, ফিরোজ আহমেদ মামুন মোল্লা। সমন্বয় করবেন সালাউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির।
পল্টন থানার উল্টো দিকে মৎস্যজীবী দল, তাঁতী দল এবং জাসাসের নেতৃত্বে থাকবেন আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আব্দুল বারী ড্যানী, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল, আব্দুল মালেক, সালাউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, মশিউর রহমান বিপ্লব, দেবাশীষ রায় মধু। সমন্বয় করবেন আমিরুজ্জামান খান শিমুল।
ফকিরাপুল দৈনিক বাংলা সড়কে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার, হারুন অর রশীদ, আলহাজ সালাউদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, নবী উল্লাহ নবী, রফিকুল আলম মজনু, কাজী আবুল বাশার, কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, আ ক ম মোজাম্মেল হক। সমন্বয় করবেন কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু।