মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির মামলায় পাঁচ অভিযোগেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে জান্তাশাসিত দেশটির আদালত।
শুক্রবার আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সামরিক শাসিত মিয়ানমারের একটি আদালত ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে দুর্নীতির পাঁচটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং তাকে সম্মিলিত সাত বছরের জন্য কারাদণ্ড দিয়েছে।
সু চির বিরুদ্ধে রায়ের বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স এই তথ্য সামনে এনেছে। আর এর মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের এই গণতন্ত্রপন্থি নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলার গোপন বিচারিক কার্যক্রম শেষ হলো।
সূত্রটির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সামরিক-শাসিত মিয়ানমারের একটি আবদ্ধ আদালতে শুক্রবার সু চির বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করা হয়। মূলত মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো বা প্রকৃত নেতা থাকাকালীন হেলিকপ্টার ইজারা এবং এর ব্যবহার সংক্রান্ত অপরাধের জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় ওই সূত্রটি তার পরিচয় প্রকাশ করতে চায়নি। আর সু চির বিরুদ্ধে রায় নিয়ে ক্ষমতাসীন জান্তার মুখপাত্রের মন্তব্যের জন্য চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।
এর আগে বেশকিছু মামলার রায়ে মোট ২৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় অং সান সু চিকে। এবারের সর্বশেষ রায়ে তাঁকে আরও সাত বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের মুখপাত্র তাৎক্ষনিক কোনো মন্তব্য করেননি।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ৭৭ বছর বয়সী নেত্রী অং সান সু চিকে গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বন্দি করে দেশটির সামরিক বাহিনী। সেদিনই জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই বন্দি জীবনযাপন করছেন সু চি।