দ্বিতীয় দিনেও মেট্রোরেলে ওঠার জন্য ভিড় দেখা গেছে স্টেশনে। অনেকেই ফজর নামাজ শেষেই মেট্রোরেলে চড়তে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
আজ শুক্রবার সরেজমিন আগারগাঁও স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশার চাদরে মোড়ানো সকালে টিকিটের জন্য অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অফিস মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ লাইন হয়েছে।
মেট্রোরেলে চড়ার অভিজ্ঞতা নিতে আজিমপুর থেকে আগারগাঁওয়ে এসেছেন মো. রাকিব হোসেন। তিনি বলেন, দেশে প্রথম মেট্রোরেল চালু হলো, সেটাতে চড়ার অভিজ্ঞতা নিতেই এখানে আসা। ভোরেই রওনা দিয়েছিলাম। আসতে আসতে দেখি অনেকেই আগে থেকেই এসে লাইনে অপেক্ষা করছেন। মেট্রোরেলে চড়তে পারলে জীবনে ‘এক ব্যতিক্রম অভিজ্ঞতা হবে’বলেও উল্লেখ করেন এই যুবক।
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অন্তরা নামের এক তরুণী বলেন, ‘মেট্রোরেল উদ্বোধন হওয়াতে আমি অনেক খুশি হয়েছি। আমি সকাল থেকেই লাইনে এসে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু দীর্ঘ লাইন ও অতিরিক্ত মানুষের চাপে ভেতরে ঢুকতে পারছি না।’
স্টেশনের প্রবেশগেটে দাঁড়িয়ে থাকা আখতার উদ্দিন বলেন, ‘আমার মতো যারা প্রতিদিনের যাত্রী, তাদের জন্য মেট্রোরেল আশীর্বাদের মতো। সময় যেমন বাঁচবে, তেমনি বাসে চলাচলের ধকল পোহাতে হবে না।’
মেট্রোরেলে চড়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন মানুষ। ছবি: আমাদের সময়
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্যিক যাত্রার প্রথম দিনে মেট্রোরেলের আয় হয়েছে দুই লাখ ৭৪ হাজার ৮৭২ টাকা। মোট যাত্রীর মধ্যে তিন হাজার ৭৫৬ জন একক পাস ব্যবহার করেছেন। তারা সবাই ৬০ টাকা করে ভাড়া দিয়েছেন। এতে আয় হয় দুই লাখ ২৫ হাজার ৩৬০ টাকা।
এর আগে বুধবার বেলা ১১টা ৪ মিনিটে মেট্রোরেলের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী প্রান্তে উদ্বোধনস্থলে তিনি এই ফলক উন্মোচন করেন। ওই সময় সরকারপ্রধানের সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বক্তব্যের পর কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে সফরসঙ্গীদের নিয়ে মেট্রোরেলে চড়েন শেখ হাসিনা।