এমপিওভুক্ত ৬৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগে আবেদন শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। একই সাথে আজ দুপুরে শূন্যপদের তালিকাও প্রকাশ করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। তালিকা প্রকাশের পর থেকেই প্রার্থীরা শিক্ষক নিয়োগে আবেদন করতে পারবেন। ইতোমধ্যে শিক্ষক নিয়োগে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ। সূত্র জানিয়েছে এবার চতুর্থ ধাপে এ শিক্ষক প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬৮ হাজার ৩৯০টি এমপিওভুক্ত বা প্যাটার্নভুক্ত এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এসব পদের মধ্যে বিভিন্ন এমপিওভুক্ত স্কুল কলেজের ৩১ হাজার ৫০৮টি পদ এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৬ হাজার ৮৮২টি পদ রয়েছে। এক হাজার টাকা ফি দিয়ে একটি আবেদনেই ৪০টি প্রতিষ্ঠান পছন্দ দিতে পারবেন প্রার্থীরা। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যেসব প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছর বা তার কম তারা শিক্ষক নিয়োগে আবেদনের সুযোগ পাবেন।
এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএ জানিয়েছে, ৬৮ হাজার ৩৯০টি শিক্ষক শূন্যপদের তালিকা এনটিআরসিএর (www.ntrca.gov.bd) এবং টেলিটকের ওয়েবসাইটে (http://ngi.teletalk.com.bd) বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় প্রকাশ করা হবে। এ সময়ের পর থেকে আবেদন করা যাবে। বিষয় পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী নিবন্ধনধারীরা শিক্ষক নিয়োগে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনকারীর যোগ্যতা বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিষয়, পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী নিবন্ধনধারী হতে হবে, এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রকাশিত সম্মিলিত মেধা তালিকার অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারিকৃত সর্বশেষ জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে। কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ দেখার জন্য এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটের ‘চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি’ নামে সেবা বক্সে ক্লিক করতে হবে। অপর দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারিকৃত সর্বশেষ জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রার্থীকে আবশ্যিকভাবে কেবল তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয় সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আবেদন করলে এবং তদানুযায়ী নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত হলে ওই সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্র আরো জানায়, প্রতিষ্ঠান পছন্দ দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে প্রার্থীদের বলেছে এনটিআরসিএ। এনটিআরসিএ বলেছে, যেসব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শূন্যপদের বিপরীতে কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী নেই, যেসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও পরবর্তীতে বা ভবিষ্যতে বাতিল হতে পারে বিধায় বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত যেসব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের বিপরীতে কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী নেই, সেসব পদে পরবর্তী সময়ে বা ভবিষ্যতে নিয়োগ সুপারিশ দেয়া যাবে না।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, এমপিওভুক্ত প্রার্থীর একটি পর্যায়ের স্কুল বা কলেজের একাধিক শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকলে ওই প্রার্থী ওই পর্যায়ের আবেদন করতে পারবেন না। ১০ম ও ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনে সহকারী শিক্ষক পদে নিবন্ধন সনদ অর্জন করা কোনো প্রার্থী যদি ১০ম নিবন্ধনের সনদ ব্যবহার করে এমপিওভুক্ত হন তাহলে তিনি ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ ব্যবহার করে সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারবেন না।