আগামী ৩০ ডিসেম্বর মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোর কারাগারে স্থাপিত আদালতে প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ত এবং ডি-ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সুচির বিরুদ্ধে সামরিক জান্তার আনা শেষ দুর্নীতি মামলাটির রায় হবে। ইরাবতি
এই মামটিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, দুর্যোগ মোকাবিলা ও রাষ্ট্রীয় এ্যাফেয়ার্সে ব্যবহারের জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া ও কেনা নিয়ে তারা দুর্নীতি করেছেন। জান্তাদের অভিযোগ হলো উইন মিন্ত ও অং সান সুচি আইনভঙ্গ করেছেন এবং সরকারি তহবিলের অপচয় করেছেন। দোষী সাব্যস্ত হলে দু’জনের সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। সুচি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি কেবল নিয়ম অনুসারে পরামর্শ দিয়েছেন।
রায়ের নির্ধারিত তারিখ এগিয়ে আনার বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। তাদের সাজার মেয়াদ কমিয়ে আনা হতে পারে। আগামী ৪ জানুয়ারি মিয়ানমার পালন করবে ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস। তখন তাদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শন করা হতে পারে। এজন্য রায়ের তারিখটি এগিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করা হয়েছে।
অং সান সুচিকে ১৪টি মামলায় এ পর্যন্ত ২৬ বছরের এবং উইন মিন্তকে তিনটি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। সুচিকে রাখা হয়েছে নেপিডোর একটি কারাগারে। উইন মিন্তকে হয়তো নেপিডোর কোনো বাড়িতে গৃহবন্দী রাখা হয়েছে। তবে সেটা কারো জানা নেই।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে জান্তা সরকার জাতীয় দিবসগুলোতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে গত বছর ও এ বছর। গত মাসে জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে বেশ কয়েকজন রাজবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে জান্তা সরকার। সুচি ও উইন মিন্তের মামলা চলার কারণে সাধারণ ক্ষমার আওতায় পড়েননি।