রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। তবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়ায় ধীরগতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্বাচনি কর্মকর্তারা বলছেন, ইভিএম নিয়ে সাধারণ ভোটারদের অজ্ঞতা এবং শ্রমজীবী মানুষসহ অনেকের আঙুলের ছাপ না মিলায় দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে এখন তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে।
ভোট দিতে আসা আবুল হোসেন বলেন, খুব সহজে মেশিনে ভোট দেওয়া যাবে আশা করেছিলাম। কিন্তু ভোট দিতে এসে অনেক কঠিন মনে হয়েছে। ঠিকমতো ভোটটা দিতে পেরেছি কিনা, তা-ও বুঝতে পারছি না।
এদিকে, রসিক নির্বাচনে প্রথমে আঙুলের ছাপ না মেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে না পারলেও পরে প্রিজাইডিং অফিসারের সহযোগিতায় ভোট দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র পদপ্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
রংপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, অনেকে বুঝতে না পেরে মেশিনে একাধিকবার টিপ দিচ্ছেন। অনেকের আঙুলের ছাপ মুছে যাওয়ায় মেশিন তা চিহ্নিত করতে পারছে না। বিশেষ করে নারী ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ মেলাতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে, নির্বাচন কমিশন জানায়, রংপুর সিটি করপোরেশনে মোট ৩৩টি ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২২৯টি। ভোট কক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৩৪৯টি। এবারের নির্বাচনে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
ভোটগ্রহণ মোট ১ হাজার ৮০৭টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।