জয় হবেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর

Slider রাজনীতি


স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গঠনের চাবিকাঠি থাকছে দলের প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান বিশ্বের সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার হাতেই। দলটির সভাপতির সুযোগ্য সন্তান ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রুপকার সজীব ওয়াজেদ জয় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্বে সরাসরি না আসলেও তার হাত ধরেই এ দেশের জনগণ স্মার্ট বাংলাদেশ পাবে বলে মনে করছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। এ প্রতিবেদককে তারা বলেছেন, দলে বড় পরিবর্তন না আসতেই পারে, আবার পরিবর্তন আসলেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তারা সবাই এক যোগে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়বে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন, এবারের কমিটিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে না। নিজে যদি এই দায়িত্বে পুনরায় আসতে না পারি তারপরেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সারাজীবন কাজ করে যাবো। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নিজেকে দলের জন্য নিবেদিত রাখবো।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যার হাত ধরে বাংলাদেশ দারিদ্র থেকে মুক্তি পেয়েছে তার নির্দেশনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সব কিছু মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম।

তিনি বলছেন, শেখ হাসিনা বর্তমান বিশ্বের সফল রাষ্ট্রনায়ক। তিনি নেতাদের চোখের ভাষা বুঝেন। উনি যাকে যোগ্য মনে করবেন তিনিই হবেন ঐতিহাসিক এই দলটির সাধারণ সম্পাদক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং তার সুযোগ্য ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নিরলস প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যেই ডিজিটাল হয়েছে বাংলাদেশ।

সাধরণ সম্পাদক পদে ১০ জনের আলোচনা শুনা যাচ্ছে, এই দশজন কারা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দীর্ঘপথ চলার ইতিহাসে সাধারণ সম্পাদক পদে আসার জন্য কেউ কোন দিন পোষ্টারও ছাপাইনি। কেউ নিজে থেকে বলতেও পারে না । দল এবং নেত্রী এই বিষয়ে ভালো জানেন।

আপনি সাধারণ সম্পাদক হওয়ার তালিকায় বা আলোচনায় আছেন কি না জানতে চাইলে স্বেচ্ছা সেবকলীগের প্রতিষ্ঠাতা এবং দলটির জনপ্রিয় এই নেতা বলেন, আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং তার দিক নির্দেশনায় রাজনীতি করি। তিনি আমাকে যে পদে উপযুক্ত মনে করবেন সেই দায়িত্বই আমি পালন করবো।

স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রুপকার সজীব ওয়াজেদ জয় আসছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় আইটি সেক্টরে আমেরিকারও সম্পদ। বাংলাদেশ তৈরির ইতিহাসে তাদের পরিবারের অবদান অপরিসীম। তিনি এদেশের সবচাইতে উর্বর রাজনৈতিক পরিবারের ছেলে।

সারা দেশ থেকে প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলর এবং লক্ষাধিক ডেলিগেটসহ অন্যান্য নেতাকর্মী অংশ নেবেন। সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর নামাজ ও খাবার বিরতি শেষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এই অধিবেশনে আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে।

সম্মেলনের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রবীণ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

কমিশনের অপর দুই সদস্য হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ব্যালট পেপার, স্বচ্ছ ব্যালট ও নির্বাচন কমিশন সব প্রস্তুত। তবে এবারও এর ব্যবহারের সম্ভাবনা কম। কারণ অন্যান্যবারের মতো এবারও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাই থাকবেন।

কাউন্সিলররা সর্বসম্মতি দিয়ে তাকেই যে টানা দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করবেন, সেটা মোটামুটি নিশ্চিত। তাকেই দায়িত্ব দেবেন সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতা নির্বাচনের। সম্পাদনা: এল আর বাদল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *