বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ওয়েন্ডি আর শেরম্যান।
আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।
সংক্ষিপ্ত আলোচনায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদার করা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব এবং মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ৯ বছর আগে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় যান। এ সময় সেখানে হাজির হয় ‘মায়ের কান্না’ নামে অন্য একটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
তারা সেদিন পিটার হাসের কাছে স্মারকলিপি দিতে যান, যাতে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে সহযোগিতার অনুরোধ করা হয়। এরপর পিটার হাস দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান।
পিটার হাসের সেদিনের কর্মকাণ্ড পছন্দ করেনি সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের একাধিক বক্তব্যে সরকারের এ মনোভাব উঠে আসে।
তবে এ ঘটনায় ওয়াশিংটনে ঢাকার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানকে ডেকে কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা বক্তব্যে বলা হয়েছে, তাদের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে থাকে মানবাধিকার।
এর প্রতিক্রিয়ায় গত মঙ্গলবার ঢাকার রুশ দূতাবাস তাদের ফেসবুক পোস্টে এক বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ‘রাশিয়া অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের মতো যে দেশগুলো বিদেশি শক্তির নেতৃত্ব অনুসরণ না করে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতি গ্রহণ করে, সে দেশগুলোর প্রতি রাশিয়া পুরোপুরি সমর্থন জানায়।’