বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এখন আর নেই। গত ৯ ডিসেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জোটের এক বৈঠকে শরিকদের এমন সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে বিএনপি। তবে কোনো পক্ষ থেকেই আনুষ্ঠানিক কিছু জানানো হয়নি। ওই বৈঠকে এও সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২০ দলীয় জোটের শরিকরা ইচ্ছে করলে আলাদা জোট গঠন করে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকতে পারবে। অথবা জোটভূক্ত না হয়েও একক ভাবেই যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নিতে পারবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০ দলে থাকা ১১ রাজনৈতিক দল নতুন করে একটি ফ্রন্ট গঠন করেছে। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জাতীয়তাবাদী ঐক্যজোট’ অথবা ‘জাতীয়তাবাদী মঞ্চ’ নামে এই ফ্রন্ট আত্মপ্রকাশ করবে।
জান গেছে, ১১টি দলের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল তিনটি। অন্য ৮টি দল নিবন্ধন চেয়ে কমিশনে আবেদন করেছে। আজ এই জোট আত্মপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে। বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করে সরকার পতন আন্দোলনের লক্ষ্যে মাঠে নামবে এই জোট। বিএনপির শীর্ষনেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রস্তাবিত জোটের নেতারা। তারা এও জানান, বিএনপি থেকে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে।
নতুন এই জোটে থাকছে মুসলিম লীগ (সুজা), জাতীয় পার্টি (মুকিত), জাতীয় পার্টি (জাফর) , কল্যাণ পার্টি, এনডিএম, দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টি, মুসলিম সমাজ, রিপাবলিকান পার্টি, ফেডারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, আজাদী লীগ এবং আইডিয়াল পার্টি।
জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা বিএনপির দেওয়া কর্মসূচিগুলোর সমর্থনেই আলাদা প্ল্যাটফর্ম করবো। আমরা ১১টি দল একটি রাজনৈতিক মোর্চা গঠন করে সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির পাশে থাকবো।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আমরা সকলেই সরকার পতন আন্দোলনে একমত। আমরা ১১টি দল একটি প্ল্যাটফর্মে বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নিবো। এখানে যে যেভাবেই হোক আন্দোলনে অংশ নেওয়াই আমদের উদ্দেশ্য।
বিএনপির ডাকে ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন। সেদিন বিএনপি ছাড়াও আরো ৩৬টি রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলনে রাজপথে থাকবে। তারা চারটি প্ল্যাটফর্মে আলাদা মোর্চা গঠন করে বিএনপির সঙ্গে অভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ