পাকিস্তানে পুলিশ কার্যালয়ের জিম্মিদশার অবসান, দুই সেনাসহ নিহত ৩৫

Slider সারাবিশ্ব


পাকিস্তান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের (সিটিডি) একটি কার্যালয় জিম্মিদশা থেকে অবশেষে মুক্ত হলো। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার বানু অঞ্চলে সিটিডির ওই কার্যালয় তিন দিন আগে দখল নেয় সন্ত্রাসীরা। আজ মঙ্গলবারের উদ্ধার অভিযানে জিম্মিকারী ৩৩ সন্ত্রাসী ও সেনা সদস্য নিহত নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ দেশটির।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের খবরে বলা হয়, আজ সকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (এসএসজি) অভিযান শুরু করেছিল। এ সময় অভিযানে অংশ নেওয়া ১০ থেকে ১৫ জন সেনা আহত এবং দুজন নিহত হন। স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার মধ্যে ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেয় এসএসজি। তারা জিম্মি সবাইকে মুক্ত করেছে।

ভাষণে পাকিস্তানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ‘জিম্মিকারীরা একই গোষ্ঠী বা সংগঠনের নয়, তারা বিভিন্ন নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।’

তিনি বলেন, কম্পাউন্ডের ভেতরে গ্রেপ্তার হওয়া ৩৩ জন সন্ত্রাসী ছিল। তাদের মধ্যে একজন এক নিরাপত্তারক্ষীকে পরাস্ত করে অস্ত্র কেড়ে নেয় এবং তার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে। পরে বাকি সন্ত্রাসীরা মিলে পুরো ভবনের দখল নেয়।’
জাতীয় পরিষদে ভাষণ দিচ্ছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ

এ ঘটনায় জড়িতদের সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) যোগসূত্র রয়েছে বলে ধারণা করছে পাকিস্তানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ জন্য টিটিপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিল দেশটির সরকার।

এ ঘটনায় খাইবার পাখতুনখাওয়ায় ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কঠোর সমালোচনা করেছেন খাজা আসিফ। ইমরান খানের দলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার দুর্ভাগ্যজনক দিক হলো, সন্ত্রাসবাদ আবার খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।’

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র মুহাম্মদ আলী সাইফ বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা অন্তত আটজন পুলিশ ও সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে নিরাপদে আফগানিস্তানে যাওয়ার সুযোগ দাবি করেছিল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *