আরও এক পুলিশ কর্মকর্তাকে ‘জনস্বার্থে’ বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। অবসরে পাঠানো পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. মুনির হোসেন। তিনি অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে সই করেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে তাকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়েছে।
মুনির হোসেন ২০১১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) ছিলেন।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার। ব্যারিস্টার জিল্লুর রহমান নামের ওই পুলিশ কর্মকর্তা এক সময় মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) ছিলেন। ওই সময়ে উপজেলা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সারা দেশে ডিসি-এসপিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে আমাদের চাকরি রাখবে না।’
তার আগে গত ১৮ অক্টোবর এসপি পদমর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার। তারা হলেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী ও মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা এবং পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (টিআর) মুহম্মদ শহীদুল্লাহ চৌধুরী। তাদের মধ্যে মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা এবং অন্য দুজন ১২তম ব্যাচের।
পরে ৩০ অক্টোবর পুলিশের আরও দুই কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার। তারা হলেন সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মো. আলমগীর ও ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরদির্শক মো. মাহবুব হাকিম।
গত ৩১ অক্টোবর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উৎপল দত্তকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমের সামনে আসে ৬ নভেম্বর।
১৬ নভেম্বর পুলিশের আরেক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অবসরে পাঠায় সরকার। পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ওই কর্মকর্তার নাম মো. আলী হোসেন ফকির। খুলনায় তৃতীয় এপিবিএনের অধিনায়ক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় আলী হোসেন ফকিরকে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।