ঢাকা: ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে আইনি হেফাজতে থাকা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেছেন শিলংয়ের একটি আদালত।
শুক্রবার (০৫ জুন) বিকেলে পুলিশের দাখিল করা চার্জশিটের শুনানি শেষে শিলংয়ে নিম্ন আদালত এ আদেশ দেন।
বিএনপি চেয়ারপাসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শিলং ছাড়তে পারবে না সালাহ উদ্দিন। এছাড়াও প্রতি সপ্তাহে একবার করে তাকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে বলেও শর্ত দিয়েছে আদালত।
উন্নত চিকিৎসার জন্য শিলং থেকে অন্য কোনো দেশে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে স্থানান্তর করার জন্য ২২ মে শিলং আদালতে জামিন আবেদন করেন স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। এরপর ২৩ মে জামিন আবেদন আমলে নিয়ে ২৯ মে শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
ওই দিন আদালত জানিয়েছেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা (ইন্টারপোল)-এর রেড এলার্ট জারি থাকায় জামিন মঞ্জুর সম্ভব হলো না।
অনির্দিষ্টকালের অবরোধের মধ্যে গত ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরার একটি বাসায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় নিখোঁজ হন সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
এরপর দুই মাস দু’দিন পর গত ১২ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের মিমহ্যানস্ হাসপাতাল থেকে স্ত্রী হাসিনা আহমেদকে ফোনে জানান, তিনি বেঁচে আছেন।
এদিন শিলং পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানায়, ১১ মে সকালে শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকা থেকে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আটক করা হয়। এসময় তার সঙ্গে ভ্রমণের কাগজপত্র না থাকায় স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিধ্বস্ত চেহারা ও অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাকে মেঘালয় ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ্ (মিমহ্যানস) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর পর দুই দফায় হাসপাতাল পরিবর্তন করে প্রথমে শিলং সিভিল হাসপাতাল ও সর্বশেষ শিলং নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল সায়েন্সেস (নেগ্রিমস) ভর্তি করা হয়।
স্বামীর সন্ধান পাওয়ার পাঁচ দিন পর ১৭ মে শিলংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন হাসিনা আহমেদ। পরের দিন শিলংয়ে পৌঁছে স্বামীর জামিনের জন্য আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি।