২০১৫-১৬ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটকে ভুয়া সরকারের ভুয়া বাজেট বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। বলেছেন, কার বাজেট কে দেয়? যারা বাজেট দিচ্ছে তারা কি জনগণের প্রতিনিধি? তবে জনগণের বাজেট দেয়ার কি অধিকার আছে তাদের? এ ভুয়া সরকারের ভুয়া বাজেটে গ্রামের দরিদ্র অবহেলিত মানুষের ভাগ্যের প্রতিফলন হয়নি। সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীধ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়বাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দল আয়োজিত ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়তে হবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মঈন খান বলেন, আমি বাজেট নিয়ে কোন কথা বলতে চাই না। শুধু এইটুকু বলবো, অর্থমন্ত্রী যে বাজেট প্রস্তাবনা দিয়েছেন তার সব প্রজেক্ট রাখা হয়েছে রাজধানীকেন্দ্রিক। এখানে গ্রামের দরিদ্র অবহেলিত মানুষের প্রতিফলন হয়নি। আর এ কারণেই বাজেট প্রস্তাবনায় সব রাজধানীকেন্দ্রিক বড় বড় প্রজেক্টের কথা বলা হয়েছে। অথচ ঢাকাবাসীর শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ যারা গ্রামে বাস করেন, তারা আজ অবহেলিত। সরকারকে দুর্নীতিগ্রস্ত আখ্যায়িত করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এই সরকার দুর্নীতিতে আপাদমস্তক ডুবে গেছে। যার প্রতিফল হয়েছে বাজেটে। শুনেছি, পাঁচশ সাতশ কোটি টাকার প্রজেক্ট নিয়ে গেলে নাকি বলা হয় কি প্রজেক্ট এনেছো, দশ হাজার-বিশ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট আনো। অনুমোদন দিয়ে দেব। জিয়াউর রহমান সম্পর্কে মঈন খান বলেন, ২৬শে মার্চ যখন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি প্রস্তুত করা হয়েছিল, তখন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের নেতাদের ডাকা হয়েছিল। তারা জিয়াউর রহমানকে বলেছিলেন, ইউ আর দ্য মেজর, উই আর মাইনর। তাই ঘোষণা আপনিই দেন। অথচ সামরিক বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় এ ধরনের কর্মকা-ে জড়িত হওয়ার পরিণতি কি, তা তিনি জানতেন। তারপরও মেজর জিয়া সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি যে কর্মময় জীবন রেখে গেছেন তা আলোচনা করতে গেলে ৩৫ বছর সময় লাগবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শকে লালন করতে হবে। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দর্শনকে নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। শহীদ জিয়ার আদর্শ মেনে চলতে হবে। আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। যাদের সঙ্গে দেশের মানুষ নেই তারা হতাশ হবে। সংগঠনের সভাপতি শামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।