গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার দেড়শ রাজাকারের তালিকা ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে। যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, বাড়ি থেকে নারীদের ধরে পাক হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে যেতো—এমন ব্যক্তিদের নামসহ বিস্তারিত তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে এই তালিকা চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় শ্রীপুর উপজেলা সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা জানান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আ জ ম এনামুল হক। শ্রীপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যুদ্ধকালীন প্রথম অভিযানে শ্রীপুর উপজেলায় ১৮ রাজাকারকে আটক করা হয়েছিল। এর মধ্যে তিন জনকে মুক্তিযোদ্ধারা হত্যা করেন। বাকিদের মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রান্নাবান্নাসহ নানা কাজ করাতেন। এসব রাজাকারের জন্য দেশ স্বাধীন করতে আমাদের বেশি সময় লেগেছিল।
শ্রীপুর উপজেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিমের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হারুন-অর রশীদ ফরিদ, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্রীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মোল্লা ও প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আ জ ম এনামুল হক।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্রীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আলমগীর হোসেন, শ্রীপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আবু বকর সিদ্দিক আকন্দ, সাধারণ সম্পাদক কাজী আকতার হোসেন, গাজীপুর জজ কোর্টের আইনজীবী এমদাদুল হক মাসুম, দৈনিক ভোরের চেতনার সহ-সম্পাদক হাদিউল আলম মোড়ল ও সাংবাদিক ও শিক্ষক সোলায়মান মোহাম্মদ প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে শ্রীপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির ব্যানারে শোভাযাত্রা বের করা হয়। সবশেষে স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান করা হয়।