বাজেটে প্রকল্পে বরাদ্দ ও ব্যয় নিয়ে মূল্যায়ন থাকলেও তার সুফল জনগণ কতটা পায় তা নিয়ে সন্দিহান বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সাম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। বিষয়টি পরিস্কার করতে তিনি ‘লাভের গুড় পিঁপড়ায় খায়’ প্রবাদের ব্যবহার করেছেন। আজ রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘জাতীয় বাজেট ২০১৫-১৬ সিপিডির পর্যালোচনা’ শীর্ষক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন তিনি। এ সময় সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তাফিজুর রহমান, গবেষক ড. কে জি মোয়াজ্জেম হোসেন ও ড. তৌফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড অতিক্রম করার পরও ব্যাংক ঋণ নির্ভর বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেটের ৩১ শতাংশ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে সুদ পরিশোধে। প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়লেও তার ব্যয় নিয়ে স্পষ্টতা নেই। সুদ পরিশোধ না করে উন্নয়ন ব্যয় বাড়ালে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। সুদ পরিশোধ দেখিয়ে বড় বাজেট দেখানো লাভের গুড় পিঁপড়ায় খাওয়ার মতো।
প্রস্তাবিত বাজেটে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। ঘাটতি ৮৬ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা; যা জিডিপি’র ৫ শতাংশ। ঘাটতি অর্থায়নের মধ্যে বৈদেশিক ঋণ থেকে নেয়া হবে ৩০ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ৫৬ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা সংগ্রহের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা ঋণের পরিমাণ ৩৮ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্য ব্যাংক-বহির্ভূত খাত থেকে আসবে ১৮ হাজার কোটি টাকা।
এবারের বাজেটে মোট দেশীয় উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে জিনিসপত্রের দাম (মূল্যস্ফীতি) ৬.২ শতাংশ হারে বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। অর্থমন্ত্রী ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন।
প্রস্তাবিত বাজেটে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। ঘাটতি ৮৬ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা; যা জিডিপি’র ৫ শতাংশ। ঘাটতি অর্থায়নের মধ্যে বৈদেশিক ঋণ থেকে নেয়া হবে ৩০ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ৫৬ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা সংগ্রহের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা ঋণের পরিমাণ ৩৮ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্য ব্যাংক-বহির্ভূত খাত থেকে আসবে ১৮ হাজার কোটি টাকা।
এবারের বাজেটে মোট দেশীয় উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে জিনিসপত্রের দাম (মূল্যস্ফীতি) ৬.২ শতাংশ হারে বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। অর্থমন্ত্রী ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন।