প্রযুক্তির জগতে বিস্ময়ের আরেক নাম ‘অ্যাপল’। নতুন প্রজন্মের কাছে এই সংস্থাটি শুধু মাত্র ফ্যাশন ও আভিজাত্যের অঙ্গ নয়। দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নতির শিখরে থাকা এই সংস্থাটি মানুষের কাছে অনেকটা ‘জিনের প্রদীপের’ মতো।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাঞ্জেলস জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন পাহাড়ি রাস্তা ধরে যাওয়ার সময় একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার কবলে পড়া ওই গাড়িতে ছিলেন বছর কুড়ির এক তরুণ এবং এক তরুণী। তাদের মধ্যেই একজন গাড়ি দুর্ঘটনার পুরো ভিডিওটি রেকর্ড করে জরুরিকালীন সাহায্যের জন্য তার পরিচিত ব্যক্তিদের ফোন নম্বরে পাঠিয়ে দেন।
যেহেতু গভীর খাদে সাধারণত মোবাইলের কোনও নেটওয়ার্ক থাকে না, তাই ওই ব্যক্তি আইফোনের ‘স্যাটেলাইট’ যোগাযোগ ব্যবস্থার সাহায্যে বিপদসঙ্কেত পাঠিয়ে দেন।
বন্ধু, পরিবার, পরিজনের পাশাপাশি ওই সঙ্কেতটি গিয়ে পৌঁছায় সেখানকার এক উদ্ধারকারী দলের কাছেও। সেখান থেকে তারা দুর্ঘটনার নির্দিষ্ট স্থানটি সম্পর্কে অবহিত হন।
হেলিকপ্টারের সাহায্যে খাদে পড়ে যাওয়া ওই তরুণ ও তরুণীকে উদ্ধার করার পর, স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। সৌভাগ্যক্রমে তাদের গুরুতর কোনো আঘাত লাগেনি।
তবে, এই ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও এমন অনেক ঘটনায় ‘অ্যাপল’ মানুষের পাশে রক্ষক হয়ে দাঁড়িয়েছে। হার্টরেট সেন্সর হোক বা জরুরি এসওএস পরিষেবা, আইফোন বা অ্যাপল ঘড়ির মধ্যে নির্মিত এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি হৃদ্রোগ, ক্যানসার, কোনো রকম দুর্ঘটনার মতো গুরুতর বিপদ শনাক্ত করে সেখান থেকে বহু মানুষকে সতর্ক করতে পেরেছে।